পৃথিবীর যত ছিলো অনন্ত রসের ভান্ডার,
মুহূর্তে লুটে নেয় সম্রাটের রং এর বাসর।
লক্ষী পেঁচার নীড়ে কেন কাঁদে বেহুলার অন্তর?
কেন কাঁদে অমরাবতির চর?
শরতের কাশফুলে ছেয়ে যায় বিকেলের নরোম রোদ
লজ্জায় লাল হয় সন্ধ্যার সোনালী আকাশ।


ভোরের শিশির বিন্দু মাটির কোলে মাথা রাখে,
সকালের সোনা ঝরা রোদ
রবীন্দ্র সঙ্গীত গায় উদ্বায়ী দ্বিপ্রহর।
ছিনতাই হয় মায়াবতি মাটির টান,
নিত্য নতুন মেঘের কোল
আলো করে হাসে বজ্র বিদ্যুৎ,
ধুসর শাসনের কুট চালে লুট হয়ে যায়
আমাদের ভবিষ্যত... গণতন্ত্র সব।


পৃথিবীর যত আছে অমূল্য রতন,
বাউলের সাধনার ধন,
হাতকড়া দিয়ে তারে নিয়ে যায় কাজী।
ক্ষেতের আ'লে বসে কেন কাঁদে ভুবনডাঙ্গার মাঝি?
সাঁঝের লালে কেন কেঁদে নীল হয় মিশিগান?
জর্জিয়ার অবসন্ন শরীর কেন করে নীল সুরা পান?
পেন্সিলভানিয়ার প্রান্তরে নীল জ্যোৎস্নায়
গণতন্ত্রের অবগাহন,
ভেসে যায় স্বৈরাচারির বর্ণবাদি আচরন।
থমকে যাওয়া ইতিহাস
গেয়ে যায় লক্ষীপেচার গান।


আমাদের সিনাটান, বরষার প্লাবনে মেশে
বুড়ো বলদের দু ফোটা অশ্রু..., হেমন্তে নবান্নের ঘ্রাণ আজো পাই শ্বেত শুভ্র,
মিহি দানা তুষারের এ প্রান্তে বসে।
চোখ মুদলেই দেখি গণতন্ত্রে’র লেবাস পরে
বসে আছে সাদা কালো শয়তান।
চারিদিকে লুটেরার জয়গান, ধর্ষকের আস্ফালন
আমরা সবাই সাকি,
রবাহূত শেয়ালের হুক্কা হুয়ার গান।


সাঁঝের কালে আম্রপালির ডালে
রাস্নার ঝোপের আড়ালে,
নিঃসংগ তক্ষকের তক্কে...এ...এ- তক্কে...এ...এ ডাক
নিশাচর বাদুড়ে’র দল ঘুমায় যখন,
ঝি ঝি পোকার ডাকে
সম্বিত ফিরে পায় দুর আকাশের চান।
সাঁঝের আলো আধারিতে ত্রস্ত পথহারা
উড়ন্ত হাঁসেদে’র মালা,
তারস্বরে ক...ক্ব...ক্ক্বক্ব, ক...ক্ব...ক্বক্ব...
শব্দে বাড়ি ফেরা,
যেন সন্ধ্যাকাশে তারাদের মেলা।


তারকারাজি’র ঘর, ভর করে
উড়ন্ত হাঁসেদের ডানার উপর ...,
অথবা আলোর নিশানা খুঁজে নেয়
পথহারা হাঁসেদে’র বিরহী অন্তর।
আমরাও শান্তি খুঁজি, খুঁজি আহ্লাদী শান্তির ঘর,
অথচ কত আর্তনাদ স্বজন হারানোর দুঃখে কাঁদে,
ধর্ষিতার সম্ভ্রম হারানোর কষ্টে কাঁদে,
না পাওয়ার গ্লানি তে কাঁদে,
প্রতারিত হওয়ার শোকে কাঁদে।


শাসকের লাল চক্ষু’র ভয়ে কাঁদে নষ্ট বিচারপতি...।
বিচারের বাণীও নীরবে নিভৃতে কাঁদে
এ কাঁদার শেষ কি হবে?