জীবনের অপরাহ্ন বেলায়
আশাগুলো ছোট হতে থাকে
ওহে আকাশ! আমার স্বপ্নগুলো
তোমাকে ছুঁতে পারল না কোন দিন -
তোমার অসীমের সংজ্ঞা, বায়বীয় রহস্যের মত
এখনো ঘুরপাক খায়
ম্যাপল লিফের পাতায় পাতায়,
দোলা দিয়ে যায় বসন্ত সমীরণ।
শহরের ও প্রান্তে রিডো রিভার
বয়ে চলে যেন পাথুরে দ্রোহের চোখে
নীল প্রজাপতি ছুটছে আপন মনে,
শহরের এ প্রান্তে সারি সারি অট্টালিকা
পার্লামেন্ট হিল, মেট্র রেল ছুটে যায় কখনো
মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ধরে
কখনো বার্চ, ম্যাপল, পাইন, ফার বন
নদীর উপর ব্রিজ নিমেষে পার হয়ে যায়।
ছবির মত সাজানো আমার শহর (অটোয়া)
অথচ আমার মন পড়ে থাকে শৈশবের গ্রামে
দেবহাটা সাতক্ষীরা শ্যামনগর
পাইকগাছা ফুলতলা যশোর রেলওয়ে স্টেশন,
আজ সেসব কেবলই অতীত।
একদিন সবাইকে চলে যেতে হয়
সবাইই চলে যায়।
জীবন তো গাড়ির চাকার মত
গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত
চলতেই থাকে।
ইচ্ছেরা মেট্রর কাঁচের জানালা
ভেদ করে চায় চারপাশ
কি যেন খোঁজে সারাক্ষণ
মনে হয় হেথা নয় হেথা নয়
অন্য কোথা অন্য কোন খানে
নাড়ি পোতা মাটির টানে
দুরে কোথাও।
মাটিও শত অভিমান নিয়ে
চেয়ে থাকে পথের দিকে
কখন নাড়ি ধন
শিকড়ের কাছে ফিরে আসে।
সব নাড়ি ধন ফিরে আসে কি ?
ফিরে আসতে পারে কি?
মাটির চাওয়াটা
হয়তো চাওয়াই থেকে যায়।
মাটির অভিমান
ক'জন দেখে ক'জন দেখতে পারে?