জীবনের তরে হেমন্তের মেঘ
যদি আসে একবার,
কান্না লুকিয়ে বারি শিয়রে তোমার।
আদিগন্ত খেলা করে ভ্রুণশিশু
জননীর জঠরে,
খেলা করে আসিবার অপেক্ষায়, এই চরাচরে।


আসি আসি করে বসন্ত যদি না আসে,
কাঁদিবে কোকিল কৃষ্ণচুড়ার মাসে,
মাছরাঙা ছাড়িবে চোখের জল, ভরদুপুরে
গাছের ডালে বসে
পদ্মফোটা পদ্ম পুকুরে।


আষাঢ়ে বর্ষার ঢল যদি করে অভিমান
কোথায় লুকোবে অশ্রু থৈ থৈ আসমান?
কি যাতনা বিষে সহিয়া শত অপমান
আকাশ ফাটিয়া গায় ধরণীর জয়গান।


শরতের সাদা মেঘ দুরে দুরে উড়ে যায়
বলাকারা ওড়ে দুরে নিঃসীম নীলিমায়,
কাশ ফুলে ছেয়ে যায় বিরাণ নদীর চর
আসিবে কি আসিবেনা প্রেয়সী আমার?
কাঁদে অমরাবতীর চর।


গ্রীস্মের দাব দহে পুড়ে যায় আমাজন,
পুড়িয়া কয়লা হয় অষ্ট্রেলিয়ার বন,
পোড়ে শিশু কোয়ালা, পোড়ে পান্ডার মন,
ক্যাঙ্গারু কাবাব, পোড়ে মানুষের আয়োজন।
কাঁদে মানবতা, সভ্যতা..., কি বা আছে করিবার?
কৃত কর্মের ভারে, পোড়ে কৃষ্টির ধার...।


শীতের শরীর ভারে ঋজু জুবুথুবু,
নদে নেই জলধারা চর ধু ধু ধু ধু,
সীমাহীন নীরবতা, অচলতা অসাড়তা -
অযাচিত অসহায়।
কর্ম হীন প্রেম খেলে জবুথুবু সভ্যতা
সময় অসময়।