তারিখ ঃ – ২০/০৫/২০২১ ইং , সময় – বিকাল – ৪-০০ টা ।।


ব্যাচ   ১৯৮০ র   আমরা  ।।


ঊনিশ শত আশির আমরা
থাকবো না মনমরা
আমরা তো আছি
একে অপরের কাছাকাছি
অবসরে আড্ডায় মাতিব
বন্ধুত্বের সুদৃশ্য মালা গাঁথিব
সুখে  দুখে  এক হবো
পাশাপাশি  নিরবধি রবো
হারাবার কিছু নাই
হৃদয়ে হৃদয়ে মিলেছে ঠাঁই ।।


পঁচাত্তর থেকে আশি
স্ফূর্তির অর্ণবে ছিলাম ভাসি
কেটে গেল ছয়টি বছর
স্বর্ণালী দিনগুলো দীপ্তিমান কৈশোর
সখাত্বের  সান্নিধ্যে ছিল মাখামাখি
অন্তরের বন্ধনে অটুট পাকাপাকি
ক্লাস রুম , খেলার মাঠ , গাছতলা , পুকুর ঘাট
কমতি ছিল না কারো দূ্রন্তের উচ্ছ্বাস
সে সব নাড়া দেয় স্মৃতির পাতায়
কল্পনায় সাজাই চরণ সুখের কবিতায় ।


আমরা চিরন্তন আমাদের
রচিব ভুবন স্বর্গের
রাঙাবো অতুলন পৃথিবী
ছড়াব প্রীতির মৈত্রী
দেব ভালোবাসার অর্ঘ্য
বিনিময়ে চিত্তের  শ্রদ্ধার্ঘ
যতদিন হেলায়-খেলায় বাঁচি
পরস্পর এক সাথে আছি
হবো পথের ধূলি
কেহ কাউকে না ভুলি ।


আমাদের অতীত
মায়া-মমতা , আন্তরিকতার প্রতীক
আমাদের বর্তমান
বন্ধনের হবে না ম্লান
আমাদের ভবিষ্যৎ
একত্রে-ঐকতায় বাঁচার শপথ
একদিন যাবো চলে
নির্মল কর্মের  পদচিহ্ন ফেলে
প্রাণে প্রাণে পুনর্মিলন
জাগবে নতুন প্রত্যাশার প্রতিফলন ।।


আমরা সবাই –
এক আকাশের তারা
একই নির্ঝরিণী র ধারা
একটি কুঞ্জে র ভ্রমর ও ফুল
কুমারীর কানের দুল
অনিন্দ্য গানের সুর
বাজে হৃদে সুমধুর
এক বৃক্ষের জড়ানো লতা
বন-বনানীর সবুজ পাতা
আমাদের চিরায়ত কথা
সবার জীবনের সাথে গাঁথা ।।


শরীফ নবাব হোসেন ।


( নাজিরহাট কলেজিয়েট  উচ্চ বিদ্যালয়ে র ১৯৮০ ইং ব্যাচকে উৎসর্গ- প্রীতির অর্ঘ্য ।। )