১৮/০৩/২০১৮ ইং


দুর্নীতি


মানুষের কল্যাণ নেই যে নীতি বা কাজে
সেটা দুর্নীতি ,
আছে তার মাঝে অসীম
ভোগের লীলা খেলা ,
অপরিসীম লোভ-লালসার করাল গ্রাস
সাধারণ মানুষের উপর শকুনের কাল থাবা
অবাধ সম্পদ লুণ্ঠনের হীন মনোবাঞ্ছা ।


দুর্নীতির  দুষ্ট  চক্রে –
পদে পদে জনতা হন বঞ্চিত , লাঞ্ছিত  
দুঃখ-দুর্দশা বাড়ে তাদের
অশুভ শক্তির পদতলে হয় পিষ্ট
যে অফিসে ই ধর্ণা দেই
মানুষের চাওয়া-পাওয়া অবহেলিত
জন জীবন হয়ে উঠে নাভিশ্বাস
পরে দুর্নীতির যাতা কলে ।


দায়িত্বে বহাল থাকা কালে –
দুর্নীতি বাজরা বেতন , ভাতা ,বোনাস নেয় নিয়মিত
রাষ্ট্রের দেয় সুযোগ-সুবিধা ভোগে অবিরত
অবসরে ও জুটে  কোটি অর্থ
শুধু কাজের বেলায় করে থাকে অনর্থ
দায়িত্বে  অবহেলা টাই তাদের মুখ্য দায়িত্ব
উপরি-পাওনা টা কৌশলে ভাগিয়ে নেয়ার করায়াত্ব
ধরাকে সরা জ্ঞান করাটা তেই অভ্যস্ত  ।


এদিকে দুর্নীতির হোতা রা  গড়ে
অবৈধ সম্পদের পাহাড়
তাদের লোলুপ দৃষ্টিতে সর্বস্বান্ত হয় মানুষ
দেশের কাজ , দশের কাজ বিঘ্নিত , হয় ছাড় কার
তাতে নেই এদের কোন মাথা ব্যথা
চাই অজস্র টাকা , গাড়ি বাড়ি , পদ-মর্যাদা
চলাফেরায় , ভাব-ভংগিতে  তারা শাহাজাদা ।


দুর্নীতি , দুর্নীতিবাজদের মার প্যাঁচে পরে
তিলে তিলে নিঃশেষ হয় জনগণের সম্পদ
ভূলুণ্ঠিত হয় আশা-আকাঙ্খা
এরপরও এ নীতি কালের চাকায় হয় সুনিপুণ-সুনীতি  
ক্ষমতার পালা বদলে তারা রং বদলায়
নিত্য খোলস পালটায়
আর তখন এসব সুযোগ সন্ধানী রা হয়ে উঠে
অব ক্ষয়িত সমাজের একচ্ছত্র মহারাজ !  

অসাধু দের অবৈধ কাজ ও নীতি
তাদের জন্য সুজন নীতি
ভোজন গীতি , বৃত্তের নীতি
শোষণ ও শাসনের নীতি
সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টির নীতি
অসম ক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠার নীতি
দেশের মানুষের মাথা খাওয়ার ঘৃণ্য নীতি ।


শরীফ নবাব হোসেন , স্যাম্ব , মীরবাড়ি ,
দেওয়ানহাট , চট্টগ্রাম ।