০৮/০৯/২০২০ ইং , সময় – সন্ধ্যা – ৭-০০ টা ।
গ্রামের স্মৃতি । ।
গ্রামের মায়াবতী ছবি
ভাবনায় করেছে কবি ,
তাঁরই স্বপ্নে জাগি
স্মৃতির পাতায় আঁকি ।
দু’পাশে বয়ে গেছে
পাহাড়ি চলমান ঝর্ণা ,
দু’পাড়ে সাজিয়েছে তার
সবুজের রকমারি সুপর্ণ ।
গ্রামের কিনারে কিনারে
বাঁশ ঝাড় , বেত ঝাড় , ঝোপ ঝাড় ,
তারা দাঁড়িয়ে আছে
যেন সৃষ্টির নিপুণ বাহার ।
প্রশস্ত বিলের মাঝে
সবুজ ধান ক্ষেত ,
বাতাসে দোল খায়
হেরিয়া আনন্দ পায় ।
প্রতিটি বাড়ির চারিপাশে
আম , জাম , কাঁঠাল গাছ ,
পাকা ফলের গন্ধে
প্রাণ জুড়ায় বারোমাস ।
পুকুরেতে মাছে ভরা
ডুব দিয়ে গোসল করা ,
পাড়ে তে সবজী-ফলের বাগান
তাজা খাবারে মন রাঙান ।
গাঁয়ের ধুলা বালি , মেঠো পথ
বর্ষায় কাদায় পত পত ,
শরৎ-হেমন্তে ঘাসের গালিচা
করি নিরন্তর সুখ অনুভব ।
নিঝুম গাঁয়ে চাঁদনী রাত
চিত্তে প্রমোদে র হাট ,
সুধাকর হাটে আমার সাথে
জীবন টা ঐ বাজিমাৎ ।
ঘোর আঁধার রাতে
জ্বালায় জোনাকিরা বাতি ,
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে
নীরব ,নিস্তব্ধতা উঠেছে মাতি ।
হাটের দিনে ক্ষেতি-চাষা রা
বেচা-কেনায় হাটে ব্যস্ত ,
ক্ষেতে র বাকি , তরমুজ , খিরা , আঁখ
আমরা খুশিতে খেতাম ততো ।
হাটে র দিন , সে কী আনন্দ
মায়ের আঁচলের পয়সা চুরি ,
দল বেঁধে দোকা নে যেতাম
চা ,পরোটা , তন্দোলরুটি ও রস পুরি ।
আজ হায় , গ্রামের কথা
অনুভবে মনে পরে যায় ,
কাছে তাকে নাহি পাই
তারই বুকে ফিরে যেতে চায় !
শরীফ নবাব হোসেন ।