১০/১২/২০১৯, সময় –বিকাল-৩-১৫ মিনিট


হালদা নদী


খাগড়াছড়ির বাটনাতলী পাহাড়ী এলাকা থেকে এর উৎপত্তি
উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত সে চঞ্চলা
পুর্বে খাগড়াছড়ি পাহাড় ও পশ্চিমে সীতাকুন্ড পাহাড়ের
মাঝখান দিয়ে সর্পের মতো একেঁ বেঁকে
ছুটে চলেছে উদ্দাম বেগে রাজকন্যা কর্ণফুলির পানে
মিলিত হয়েছে এরি মোহনায় আনন্দে দুইজনে ।
কোথাও নেই এতটুকু বিরাম, বিরতির পালা
চলতে চলতে দু’পাশ সাজিয়েছে রুপবতী
ফুল, ফল, শাক-সব্জী, ফসলের মনোরমা মেলা ।


হালদার পাড়ে আমাদের বসাবাস
বাঁচি আমরা সারা বছর করে চাষাবাদ
এক কূল পড়ে তার ভাঙ্গনের কবলে
অপর পাড়ে উঠেছে ভরে কাশফুল, সবু্জ বন ও ফসলে
মনে হয় কোন এক বিখ্যাত চিত্র শিল্পী
রং তুলির যাদুর আঁচরে এঁকেছে অপরুপ করে
মায়াবী চেহারার জাল বুনেছে হালদার পাড়ে
প্রকৃতির সুন্দরে লালিত উজাড় করা মন কাড়ে ।


নদীটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র
মা রুই,কাতলা,মৃগেল, কালিবাউস  ছাড়ে ডিম অনন্য
যার পূর্বে পার্বত্য গ্রামের ছড়াটির নাম ছিল সালদা
জোয়ার-ভাটার অকৃত্রিম নয়নাভিরাম সুন্দরী নদী হালদা ।


হালদা বয়ে এসেছে পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে
চির জাগরিত থাকবে দান দূ’কূল বাসীর মনে
হালদার বুকে জেগে আছে অপরিসীম  ভালবাসা
ছড়িয়ে দিচ্ছে স্বপ্ন  দেখা মানুষ গুলোর মনের আশা ।


শরীফ নবাব হোসেন, স্যাম্ব, মীরবাড়ী ।