১১/০৯/২০২০ ইং , সময় – সকাল – ৮ -৪৫ মিনিট ।


সেকালের বাস্তবতা ই বিজ্ঞান । ।


নিরক্ষর , অশিক্ষিত হলেও তাদের ছিল
নিজস্ব ধ্যান , ধারণা , বিজ্ঞান ও দর্শন
তা জীবন ধারণে করতো তাঁরা কর্ষণ ।


গ্রামের অশিক্ষিত কৃষক
মেঘ ও আকাশের অবস্থা  দেখে
বলতে পারতো কখন বৃষ্টি  হবে ।    
  
আকাশের অবস্থা  দেখে
অনুমান করতে পারতো
কবে বাতাস , ঝড়-তুফান আসবে ।


তাঁরা আন্দাজ করতে পারতো
কতদিন গরম বা খরা চলবে
কখন আবহাওয়া শীতল হবে ।  

জমি দেখেই হিসাব করতো
বীজ তলায় কতটুকু বীজ ধরবে
বা জমিতে কি পরিমাণ চারা লাগবে ।


নদী , সাগর বা আকাশের গতি-প্রকৃতি
লক্ষ্য করে মাঝি মাল্লা রা বুঝতো
কখন ঝড় , তুফান , জলোচ্ছ্বাস শুরু  হবে ।


মৃগাঙ্ক-দিনমণি র  অবস্থান দেখে
দিন রাতের সময় করতো নির্ধারণ
সে নিরিখে যাবতীয় কাজ করতো সমাপন ।


গর্ভবতী মায়েদের বাচ্চার  অবস্থান
প্রসবের দিন-ক্ষণ , ছেলে না মেয়ে
তাদের পর্যবেক্ষণে এসব নির্ণয় হতো ।


তখনকার বনাজী ও হারবাল ঔষধে
অনেক জটিল রোগ ও আরোগ্য হতো
মৃত্যুর পূর্বাবস্থাও বলে দিতে পারতো ।  


মানুষ খালি পায়ে হাট তো
সারাদিন প্রকৃতির সাথে কাজকর্ম  করতো
এগুলো স্বাস্থ্য  সুরক্ষায় উপকার দিতো ।


সেকালে গ্রামে গ্রামে দীঘি , পুকুর
করা হতো খনন , প্রয়োজনে চলতো
ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহার ও আমিষের অভাব পূরণ ।


তৎ সময়ে পশু-পাখির লালন-পালন
প্রজনন , বাচ্চা  প্রসব , খাবার ও মোটা-তাজা করণ
সবই প্রাকৃতিক ভাবেই চলতো উন্নয়ন ।


অনগ্রসরতার সে দিনে এরকম
তাত্ত্বিক বিজ্ঞান চর্চা ছিল না , কিন্তু
অশিক্ষিত মানুষদের প্রাত্যহিক জীবনের বহু কাজ ,
ছিল নিজস্ব অনুধাবনে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সম্মত
কৃত্রিমতা বর্জিত  মানুষের বসবাস উপযোগী
ও সর্বোপরি স্বকীয় পদ্ধতি তে স্বভাবজাত বিজ্ঞান সম্মত ।


শরীফ নবাব হোসেন ।