১৭/০৩/২০১৮  ইং ।


সুখের  আয় !


তুমি আছো , তুমি থাকবে , রঙীন পাতায়
তোমাতে করিতে চাই সুখের বাস
যদিও করুক  কেহ সদা আমায় উপহাস ।


ওহে , যত কর আকুতি , মিনতি , করুণ চাহনি  
টলবে না তাতে আমার প্রাণ
যদি  না আসে নাকে , কচ কচে কাগজের ঘ্রাণ !


কাজের কথা পরে
বকশিস কী আনছ  বল আগে ?
নইলে আবেদন টা পরে থাকবে  হিমাগারে ।  


উপরি পাওনা , কোন কথা নেই
বড়ই চমৎকার আয় !
আনন্দ-উল্লাসে , মনের হরষে করে ব্যয় ।


ঘুষের রাজ্যে চারিদিক গদ্য ময়  
জনগণের সেবা প্রাপ্তি
যেন আকাশে এক ঝলসানো রুটি ।


সেবা টাকে ধরা ও ছোঁয়া  যাবে না
সেবা , ঐ টি থাকবে হিমালয়ের চূড়ায়  
অথবা , আটলান্টিক মহা সাগরের তলদেশে !
যদি ছাড়া না হয় পর্যাপ্ত  সেলামির বহর
গ্রাহকের পকেট থেকে ,
সাথে সালাম , তোষামুদে ও অপেক্ষার প্রহর ।  


অবৈধ অর্থের মতো
এতো সুখের উপার্জন
ধরাতলে আর নাই ,
মানুষ তাতে অপরিসীম ভুক্তভোগী
হয় চরম অসুখী
আমজনতা তাদেরকে ধিক্কার জানায় । ।


সেবা দানকারী কর্মী দের সব দেয় প্রতিষ্ঠান  
গাড়ি , বেতন-বোনাস , সুদ হীন ঋণ , পেনশন
কেবল সাধারণের সেবা প্রাপ্তি  টাই ম্রিয়মাণ !


সবই চলে ঠিক মতো , দিন আসে , রাত যায়
উঠে দিগন্তে নতুন সূর্য
বাড়ে ওদের চাহিদা , শুধু ভোক্তা গণ অসহায় ।


নড়ে না , চরে না , পড়ে থাকে ফাইল টি
চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া , কারো কিছু নেই করার
অবশেষে হয়ে যায় কিছু লোক কোটিপতি । ।


শরীফ নবাব হোসেন ।