বাল্যবন্ধু আলামিন
আমার যে বাল্যবন্ধু সেই আলামিন-
যার সাথে পুরো দশ বছর চলেছি,
কত স্মৃতি কত কথা কত কি বলেছি!
এখন সময় দৌড়ে করি শুধু ঋণ।


সে প্রাইমারি থেকে শুরু
এক সাথে চলা আর নানা কথা বলা-
ব্রেঞ্চে বসা নিয়ে হতো কত হাতাহাতি,
আবার টিফিন ফাঁকে খেলাতেই মাতি!
এসবই ছিলো, হতো সোজা পথ চলা।


প্রাথমিক শেষ করে
মাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে দেওপাড়াতে যাই-
সেখানেও এক সাথে হতো যাতায়াত,
বকাবকি খ্যাপাখ্যাপি হতো দিন-রাত!
ওর মাঝে আমি যেনো সব কিছু পাই।


অষ্টমে থাকা-কালীন
পরিক্ষার হলে বসে হলো কোপাকুপি-
ইস্কেলের কুপ লেগে কেটে গেলো হাত,
রুধিরটায় এসেছিলো ভেঙে দিয়ে বাঁধ
এটা দেখে কেঁটে পড়ি ভয়ে চুপিচুপি।


নতুন এক হাতঘড়ি
আলামিন পড়েছিলো ধাঁধা গুলো ধরেছিলো
কি জানিরে ধাঁধা ধরে আমাকে যে খুঁচা দিলো
ব্রেঞ্চের সাথে লেগে, সে ঘড়ি খানা ভেঙে গেলো
মুখটাকে যে কালো করে, এটা কিরে হলো?


এভাবেই কেটে যেতো
হেসে খেলে দোলে দোলে করে মারামারি
কখনো যে চাটবেঁধে বলিনি তো আঁড়ি।
সুখে দুখে জোড়া-জুড়ি করে দিন-রাত
পাবো নারে সেই দিন পাবো নারে স্বাদ।