প্রভাত হলে পাখির কূজন
এবার খোলো আঁখি,
মুয়াজ্জিনে আযান দিচ্ছে
ডাকে ভোরে পাখি।


মুমিন মুসলিম চলে সবাই
মসজিদেরী পথে,
পাখির মতো, নবীন মুমিন
নিবো তাদের সাথে।


নরম ঘাসের মুক্তা কণা
ভোরে ফুটে শিশির,
সোনামণি গ্রন্থ খুলে
বর্ণ পড়ে বসি।


এদিক দিয়ে সূর্য্যি মামা
উঠলো এবার হেসে,
বিদায় নিবে শিশির কণা
আসবে দিনের শেষে।


লাঙল জোয়াল কাঁধে নিয়ে
ছুটছে মাঠে চাষা,
ভোরের পাখি ব্যস্ত খুবি
বুনছে নিজে বাসা।


গ্রামের বধূ কলসি কাখে
চলছে নদীর ঘাটে,
নাগর তাহার লুকোচুরি
রাখছে তাহায় সাটে।


নদী বেয়ে যাচ্ছে নৌকা
ভাঙা ডিঙায় মাঝি,
বৈঠা মারে কেষ্ট, কানাই
গানে ধরে সাইজি।


দিবা কাঁটে ব্যাকুল ক্লেশে
করে সবাই সায়ং,
হাসি-খুশি, কষ্ট তাদের
দেখছি আমি সয়ং।


সন্ধ্যা হলে ঘরে ফিরে
লাঙল জোয়াল চাষি,
ঘরে ফিরে কেষ্ট কানাই
ঘরে ফিরে পাখি।


রচনাকাল: ৮সেপ্টেম্বর ২০১৮
কালিহাতী টাঙ্গাইল