আমি অকৃত্রিম কবিতা লিখতে জানি,
তোমরা কি কখনো জিজ্ঞেস করেছো, বলো?
তাই আমি পাথর দেখে চোখকে জুরাই;
তবে কবি হবার স্বপ্ন জাগে অনেক
হেসে হেসে দ্বিতীয় মন বলে দূর ছাই!
তোকে দিয়ে কবিতা! পারবি নারে বলদ।


আমি তখন বলি, মাকে খুব মনে পড়ে;
তুমি আর ডাকবে না, ঐ নামটা ধরে।
তুমি কেনো এমন, শুধু না না করো এই;
তুমি কি জানতে না? যখন দূরে যেতাম,
না হয় বলতাম, মা বারণ করিবেই!


তুমি সত্যিই এক পাষাণ ঠিক পাথর
যদিও আমাতেই তুমি করো বসবাস;
আমি যে কতটুকু ছেলে আর ততটুকু
মাথা,মায়ের কথা হলো ঠুমকি ইতিহাস!


আমাদের পুবের কদম গাছটা তুমি
দেখেছো! তোমাকেই বলছি স্বীয় সত্তা;
এই আষাঢ় মাসে, ঐ সে শৈশব কালে
কদমের দাইল ভেঙে আনছি কদম!
কি বকুনি'রে বাবা ! মা'যে আমার কর্ত্তা!


যদি ধপাস করে ডাল থেকে যেতি পড়ে;
কি পিচ্ছিল শ্যাওলা, আছে আগাগোড়া ধরে।
অবশেষে আদর করে মাথা মুছে দিতো;
বৃষ্টিতে ভীজলে, ঠান্ডা জ্বর আসবে-
কাঁশবে, কি স্নেহ! ভালোবাসা দিছে কত!


অনেক কিছুই তো পড়ে মনে বলদের!
শুধু বলদ বলে ডাকেনা আমার মা'য়;
চোখ মেলে থাকার ইচ্ছে হয় না আর।


মনে হয় যেনো,মা আমার পিছন থেকে
এসে কান মলতে মলতে নিয়ে যাবে যে
ঐ কাচারি ঘরে বই খাতার টেবিলে;
আমি এখনো থাকি অপেক্ষায়, কখন-
মা কখন বলবে,থাক আজকে আর না
ভোরে উঠতে হবে, পড়বি কাল সকালে।


জানি মা সব কিছু দেখছে ঐ যে দূরে
গগনের রাতের তারকাকে সাথে নিয়ে,
মা, আমারো তোমাকে দেখার বড্ড লোভ।
একটি বার দেখা দিয়ো স্বপ্ন'তে নিয়ে।


০৫/০৮/২০১৯ইং
গাজীপুর/ঢাকা