বর্ষার পানি নামলো ঘাটে
শিশু করছে খেলা,
এই দেখে যে, পরলো মনে
আমার ছোট্ট বেলা।
কত মধুর ছিলো সময় -
পুর্বের নদীর পাড়ে,
বালুর মাঝে আঁকছি কত
সময় কোথায় যায়রে।
কেউ আঁকছে রাজা-রাণী
আঁকছে কেহ পাখি,
মনে হলে সেই সময়টা
ভিজবে জানি আঁখি।
কাঁদামাটি আনছি কত
নদীর মাঝে থেকে,
পুতুল তৈরি হতো,ঘোড়া
আগুন দিয়ে ছেঁকে।
রাজার ছেলের বিয়ে হবে
পালকি চলছে বাড়ি,
পুতুলটাকে সাজায়-পরায়
লালচে রঙের শাড়ি।
গরীব ঘরের কন্যা দেখে
রূপে পাগল কুমার,
টাকা-কড়ি দিবে সবি
বস্তা দিবে সোনার।
ঘোড়ায় করে আসছে কুমার
কন্যা নিবে তুলে,
রাজপ্রাসাদে থাকবে পরে
আগের দুঃখ ভুলে।
তারপরে তো সুখের সংসার
পুতুল বিয়ে হলো,
গোধূলি এবার আসলোরে
রাত্রি হলো কালো।