দূরে অনেক দূরে
মনে হলো ফুটে আছে বেগুনি কোন ফুল।
মনের ভুল নয়তো!
এ বিরান মাঠে কোথা থেকে আসবে
প্রাণের আনন্দ।
বসে আছি ছোটার গতিতে
সব কিছু ঠিক ঠাহর হয়ে ওঠে না।
যেন ঘষা মোটা কাঁচের ভেতর দিয়ে
সোজা বাঁকা লম্বা খাটো কিছু টুকটাক চোখে পড়ে।
পোঁড়া নাড়া কালো কালো ছোপের মতো
বাদামী ক্যানভাসে এখানে ওখানে পরিকল্পিত পোঁচ।
হঠাৎ দেখা মিলে গেলো হলুদের আভা
চোখে বুলিয়ে দিলো বসন্তের প্রশান্তি।
আবার দূরে চলে যায় চোখ
গরুর পাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রান্তরে।
চলেছি ছুটে বসে থেকে
পৌঁছুবো কি গন্তব্যে।
দেখা মিলবে কি নিকেতনের শান্তি।
সাপের মতো এঁকে বেঁকে ছুটে চলে এক্সপ্রেস ট্রেণ
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ছোটে দুরন্ত ইঞ্জিন।
আমরা বসে আছি ছোটার গতিতে
সবুজের ছোপ খোজে পোঁড়া চোখ।
বিরান মাঠ যেন বাদামী মাটির দাংগাল
অজস্র পায়ের ভারে ধুলো ধুসরিত।
আকাশ নীলাম্বরী স্নিগ্ধ মৌন রূপে
ঢেলে দেয় তপ্ত সূর্য রশ্মিরাগ।
হিম হিম শীতের কাল পেরিয়ে
বসন্ত জেগে যাবে চৈত্রের দাহে।
বাদামী মাটি দাংগালের আলে
সবুজের মেঘ হয়ে জেগে উঠবে
পোঁড়া মাটির গহ্বর থেকে
আজন্ম লালিত ফসলের সম্ভাবনা নিয়ে।
আমরা বসে বসে ছুটে যাব স্টেশন থেকে স্টেশনে
লাল লণ্ঠন হবে পথের দিশারী।


২৭.১২.২০১৭