কুয়াশায় ঢেকে আছে দরিয়ার নীল -
কে যেন হেঁটে যায় নীরব ভাবনায়
জলের সোপান বেয়ে বেয়ে।
দেখা যায় না দূর থেকে
শুধু কায়াহীন ছায়ার মতো চোখে লাগে।
মানব না মানবী নাকি জলেশ্বরী বা জলেশ্বর
ভ্রমে নিরভ্রম হতে চাই
কিন্তু সংশয় নি:স্ব হয়ে ওঠা হয় না।
কুয়াশায় হেঁটে হাঁটে ধাবমান অদৃশ্য আলো
মদমত্ত উৎসুকতা স্কন্ধকাটা হয়ে ছোটে তারই পিছে।
স্পর্শহীন সান্নিধ্যে ধীরে ধীরে কাটে কুয়াশার জাল
দরিয়া অবগুণ্ঠন খোলে গাঢ় নীলের মোদকতায়।
চারদিকে জেগে ওঠে দৃশ্যমান রক্ত মাংসের দেহ
তাদের কোলাহলে কুয়াশার লেজটুকু পালায় উদ্ভ্রান্তের মতো।
দূরে বহুদূরে যেখানে আকাশ মিলেছে দরিয়ার নীলে
দেখি চেয়ে কারা যেন ঢেউয়ের আগা ছুঁয়ে ছুঁয়ে
জলে একটুকু টোল না ফেলে সরে সরে যায়।
দিগন্তের আবীর রঙ বেয়ে বেয়ে
বার বার কাকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে।
শীতল মন দরিয়ার নীল জলের উষ্ণতায়
খুঁজে পায় আলিংগনের আধোপনা।
জলেশ্বরী জলেশ্বর হেসে লুটোপুটি খায়
মুক্তোদানা যেন ঝরে পড়ে শিশিরকণা হয়ে।
লাল কাঁকড়ার ঝাঁক,
পড়ন্ত বেলায় বালুবেলা ঝাকাঝাকি করে
দরিয়ার নীল ধীরে ধীরে ধুসর হয়ে আসে।
গোঁধুলির লগ্ন সাংগ হলে
ঝুঁপ করে নামবে সন্ধ্যা
দরিয়ার নীলে আরেকটি লাল ভোরের সাধ জাগিয়ে।


২৪.১১.২০১৭