এখন অনেক রাত, পুরো পৃথিবী প্রায় নি:ঝুম।
মাঝে মাঝে মসৃন নিস্তব্ধতা ভেংগে -
দুটো একটা রিক্সার টুংটাং আওয়াজ
ট্রাকের চাকা খাদে পড়ার ঝক্কর শব্দ
বেবীট্যাক্সীর ঘ্যার ঘ্যার বেসুর।
দূর কোথাও থেকে ভেসে আসছে আরবী শ্লোক।
তোমার স্বপ্নের দেশে এখন কোন পাখির আনাগোনা?
কোন ফুল ফুটেছে এই বর্ষামংগলে মধ্যরজনীর শেষাংকে!
সবুজ পত্রপল্লব তোমার উপর ছায়া বিছাচ্ছে
লুকিয়ে রাখতে তোমার দেহবল্লরী
যেন চন্দ্রালোকে দগ্ধ না হয় পেলব তনুশ্রী।
তুমি কি একটু হেসে উঠলে ঘুমের বাহুডোরে?
তোমার জন্য আকাশ আজ সাজিয়েছিল মেঘের ভেলা।
সকালে সম্ভাষণ করলো ঝরঝর বরিষণে
তারপর ক্ষণে ঝিরঝির ক্ষণে ঝমঝম।
যেন প্রেয়সীকে কোনো ছুতোয় কাছে রাখার জন্য
মেঘদূতের অবিরাম প্রচেষ্টা।
অথবা অন্যদের ঘরবন্দী করে
প্রিয়ার সাথে মিলনের নৈবদ্য ঘনবরষায়।
কিন্তু আমার আজ কিছুই হলো না।
না হলো দেয়া পূজার অর্ঘ
না হলো ছলছুতোয় প্রিয়দর্শন।
আমার মেঘেদের শত চেষ্টা আছড়ে পড়লো
বারবার কঠিন পাহাড়ের গায়ে।
সামান্য বারও ছুঁয়ে দিতে পারলো না
ওপারের ঘননীল অরণ্য।
চিরহরিৎ অরণ্যকে দূর থেকে নীলাভ মনে হয় -
কেন এ ভ্রম তা আজও জানতে পারিনি।


৩১.০৭.২০১৭