সন্ধ্যার আকাশ-জানালায় স্বপ্ন-মঙ্গলা চাঁদ দেখবো বলে
বাতি নিভিয়ে হাতিয়ে নিই কিছুটা সময় খুব সংগোপনে; -


কে জানে, কীভাবে এতো-এতো চোখ ধেয়ে আসে বাড়ানো সব বেজন্মা প্রশ্নে!
অন্ধকারে প্রশ্নেরা বুঝি রহস্য-গন্ধে হয়ে ওঠে এক-একটি রহস্য-খল-নায়ক -
ভয়ানক ফোকাসে হয়ে উঠতে চায় আরো কৌতূহলী জিজ্ঞাসা!


মনে আছে, কী-দারুণ বলেছিলে - বন্ধু বাড়লে বেড়ে যায় ভীষণ একাকীত্ব!
সত্যি, ভিড়ের জানালায় তোমাকে খুঁজতে-খুঁজতে খুব একা হয়ে যাই;
চুরি করা সময়েও আষ্টেপৃষ্ঠে বাধতে চায় আমিষগন্ধী আঁশটে-বিষ-ভিড়-ভাট্টা।
অদৃশ্য চাঁদের ঠোঁটে ওপারের নিঃসঙ্গতা ধরে ঝরে ঝরে পড়ে বিহঙ্গী ঠাট্টা!


চন্দ্রসভায় তুমি মগ্নতার কবিতা খোঁজো, আমি জানি।
তুমি জ্যোৎস্নাধোয়া শব্দে কবিতার বোধ জাগাতে ভালোবাসো, আমি বুঝি।
তুমি মননের শব্দশিখায় কনককান্তি ছড়াতে চাও, আমি জানি।


তাইতো, গদ্যের পাঠ রেখে নন্দনের গোপন চোখে চোখ রাখি মুগ্ধতার চোখ;
কিন্তু নেকড়ে ভিড়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় স্বপ্ন-মঙ্গলা চাঁদের কাব্য-সুষমা।