কাজরী, তুমি গোধূলি লগ্নে সোমেশ্বরীর পারে
              দাড়িয়ে ক্রমশ পা ভিজাচ্ছো
          আমি উপকূলে দাড়িয়ে তা  দেখছি।
  তোমার চরণ যুগলে নুয়ে পড়ছে স্বর্ণখ‍্যাত বালি।
  
     দেখো তোমার হাতের স্পর্শ নেওয়ার জন‍‍্য
    ফেরারি আসামীর মতো আত্মসমর্পণ করছে      
           সীমান্ত বেয়ে আসা নুড়ি পাথর।
            
          কাজরী আমি চেয়ে চেয়ে দেখছি
আমার সাধ‍্য নেই তোমার সাথে চারপায়ে ভেজার।


               কাজরী, আম্মা বলেছিল
       বোশেখের ঝড়ো সন্ধ্যায় আমার জন্ম,
      আমার মহব্বতের চক্ষে তাকানো কেন জানি
                মানুষ হেমলক দেখে।
    
                কাজরী! বিশ্বাস করো!
   যদি ভুলক্রমে আমি সোমেশ্বরীতে পা ফেলে দিই
      বালুগুলি আমার পা থেকে সরে যাবে ক্রমশ
    আমার বিষাক্ত হাতে স্বচ্ছ পানির ছোয়া পেলে
           নীল পানি হবে ঘন ঘোর কালো
           পর্যটক শূণ‍্য হবে সুসঙ্গ পরগণা।


          কাজরী প্লিজ আমাকে জোর করো না
          আমি প্রেমিক হবার যোগ‍্যতা রাখি না
           তুমি বরং একলাই উপভোগ করো
     অবগাহন হোক সুন্দরের মধ‍্যে সুন্দরতম-র
    
       আমি উপকূল থেকে দেখছি সেই সুন্দর
         এর বেশি কিছু জোর করোনা, কাজরী!