এতদিন ‘তাঁর’ বলে ডেকেছি
আজ ‘তুমি’ বলছি।
তোমার সম্পর্কে অনেক কথা শুনছি
রবীন্দ্রনাথ।
তুমি নাকি তোমার স্ত্রী মৃণালিনীকে
শরিক করনি তোমার দীপ্তিছটায়।
জ্ঞানদানন্দিনীর ব্যক্তিত্বে, আর
অকালমৃত কাদম্বরীর সখিত্বে
তুমি নাকি বিভোর ছিলে।
আটপৌরে ভবতারিণীকে
ঠাকুরবাড়ির দীপ্তিছটা আর
বিশ্ববরেণ্য কবিপত্নীর নাম দিলে
অন্তরে
সে চিরদিনই থেকে গেল উপেক্ষিতা।
ঠিক জানিনা কে সত্য, আর কে মিথ্যা।
জীবন চলে গেছে সার্ধশ্তবর্শের পার।
তবুও ডিসেকশান, তবু বিস্ফোরণ ঘটছে
তোমাকে নিয়ে অনেক অজানা কথার।
বড় তেঁতো তেঁতো লাগে জ্বরো মানুষের মত।
তোমার অম্লান দীপ্তিতে এই উপেক্ষিতার
কলঙ্ক লাগছে যেন।
মৃণালিনী আজ উঠে আসছে নিঃশব্দ পশ্চাতে,
সত্যিই কি তোমার উপেক্ষায়?