লিখতে কারোর মানা আছে, এ কখনো শুনি নি,
আমার ভাবনা আমি লিখি, তোমার দাদা তাতে কি?
আগে লিখতাম কলম চেপে, আজো লিখি ভেবে
কাল ও লিখবো ঘামিয়ে মাথা, আমায় থামানোর তুই কে রে!
কখনো করি নাই কোনো অপরাধ, কারো মারি নে চটি
বসে-বসে শুধু লিখি সেই যে, এই হইতে কার হলো ক্ষতি?
একটু ভেবে দেখলুম, এমনে তো কিছু ভুল লিখিনি—যাতে রাগ করবে তুমি।
এর মানে তো এই দাঁড়ায়, যে মাথায় তোমার বড়ো গোলমাল
অতো ভালো লেখা কেও, মনের সাধে দাও গালাগাল।
আমি তবে যেমন ছিলাম তেমনি আছি, পাল্টাই নি এক রত্তি!
খস-খসিয়ে আমার কলম চলে, তার দিনে-দিনে শুধু বাড়ে শক্তি।
আবার বলিস আমি যা লিখি, সবটুকু বেয়ারা-অশ্লীল!
ও সবে নাকি বাঁধে ঝামেলা, পাকে নানান গণ্ডগোল।
আঃ! জানা আছে, সব কটা তোরা ভেড়ার দল,
যেই না লিখি সত্য বটে, তোদের নাহি হয়ে সহ্য
আমার পিছনে পড়িস খেপে, উফ, কি অসহ্য!
হাল দেবো ছেড়ে, এমন তো নয় আমি,
"বাপ-বাপ" করে আসবি কেঁদে, যদি লিখে ফেলি তোদের বেপারে!
একটাও কেউ বাঁচবি নারে!
এই বলে দিচ্ছি, ভালো করে তুলেনে কানে।
ভগবানও আর করবে না রক্ষা, এই জেনে রাখ আমার কাছে,
অস্ত্র দিয়ে তো তোদের প্রাণ বাঁচে, সম্মান তো আমারি হাতে!
তাই ভদ্রলোকের মতন থাকিস, বুঝলি?
নাহলে শিখিয়ে দেবো ভালো করে,
আমরা হলাম "সাংবাদিক" মশাই, তোদের জন্য আমরা কসাই।
নিয়ম মেনে থেকো বাবা, সেই যে তোমাদের বোঝাই!