নীরা, তুমি তো জানতে।
তুমি তো জানতে,
তরকারীর লবণ দেয়ার হিসেবটাও এখনো শিখিনি।
লবন আর ঝোলের রসায়নও কখন মিলাতে পারিনি।
তারপরও চলে গেলে!
লবণাক্ত কিংবা লবণহীন,
এই দুই এর মাঝেই চলছে ডাল ভাত।
আর কতকাল এভাবে রাখবে বলো!!
অন্তত খানিকটা লবণ হয়ে হলেও ফিরে এসো।


নীরা, মনে পড়ে তোমার?
মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে,
রান্না ঘরের তেলাপোকা মারা।
লাঠি হাতে নিয়ে,
চুপিচুপি ঐ রাক্ষসরাজ ইদুরটির জন্য অপেক্ষা করা।
দরজার পিছনে লুকিয়ে থেকে,
ঐ কালো বিড়ালের আনাগোনায় দেখা।
কিছুই পারিনা এখন।
রান্না ঘরের ঐ পুঁচকে তেলাপোকার বাচ্চা টাও এখন,
কেমন তেড়ে আসে আমার দিকে।
ইদুরটা যেনো নেকড়ে, আর বিড়ালটা যেনো বাঘ।
আমি দৌড়ে পালিয়ে বেড়াই।
তুমি তো জানতে তুমিই আমার সাহস।
তুমিই তো আমার আশ্রয়।
তবুও কেনো চলে গেলে?


নীরা, তুমি জানো?
আমার জানালায় এখন আর জোছনা  দেয় না ধরা,
শতশত মাকড়শারা সেখানে আজ করে মিছিল।
প্রায় টিপ্পনী কেটে করে উপহাস।
তুমি তো জানতে আমি চাঁদের আলো
কতটা ভালোবাসি,
তুমিই তো ছিলে আমার চাঁদ,
তুমিই তো ছিলে জোছনা।


নীরা, তুমি জানো?
ঐ চাবি, ঘড়ি, জুতা কিংবা ছাতা,
এমন কি মস্ত বড় ঐ আলমারিটা,
সব কেমন জানি হাড়িয়ে ফেলি।
চোখের সামনেই খুঁজে বেড়াই সহজ সব কিছু!
তুমি তো জানতে,
আমি এখনো মিলাতে শিখিনি হিসেব,
খুব সহজেই পরে ফেলি এলোমেলো পায়ে জুতো,
কিংবা গায়ে উলটো জামা।
সাড়া শহর আমার দিকে হাসে,
তারা হাসবে কেনো!!!!
তারা কি জানেনা??
তারা কি জানেনা,
নীরা তুমি পাশে নেই!!
তারা কি জানেনা?
তুমি ছাড়া আমি কতটা নয়-ছয়।


------শেখ মোহাম্মাদ আশরাফুল (অরণ্য)