এই পল্লব, এই বনানী, সব নাগরিক হবে হয়তো,
শত-মিথ্যের বোনা মায়াজাল, ভুল আমাদের, ঠিক নয়তো।


এই জীবন উঠোনে শঠকেলী যতো
রবে না, হবে না কিছু মনমতো,
অতৃপ্ততার ক্ষোভে খোঁজই রবে
বিলাসে তৃপ্তি পেয়েছে কে কবে ?
ধড়িবাজী ছলে লোলুপতা ঢেকে
লালসা লুকিয়ে সমাগম ডেকে,
এতো আয়োজন বৃথা, জেনে তবু
ভুল সন্চয় থামছে না কভু,
মৃত্তিকা জলে আকাশে অসুর, খেয়ালে পিশাচী নৃত্য,
সভ্যতা ছলে ইতিহাস আজ গর্হিত ইতিবৃত্ত।


এই যৌবন, এই শিহরণ, ঠিক একদিন যাবে ফুরিয়ে,
তেজ-রিপু-রাগ-দর্পে যতোই থাক না শরীর জুড়িয়ে।


এই মিছে রোগে জ্ঞান গরিমায়
যশে ভগে চুর, মেকি মহিমায়,
রূপ যাবে, রবে কুঁচকানো ত্বক
হিসেব ফুরোবে শূন্যে, নিছক।
দুই সত্যের ব্র্যাকেটে জীবন
আদিতে রোদন অন্তে ক্ষরণ,
সহজ অর্থ, অথচ মানব
জড়নে স্ফুরণে খোঁজে বৈভব,
আলোকের খোঁজে রঙের এষণে জনমের আয়ু লীন,
কাফন বেরঙ, গঙ্গা কফিন কবর যে দ্যুতিহীন।


এই খ্যাতি যশ, এই মতভেদ, আর এই পেশী এই বল,
অস্ত্রে যুদ্ধে দখলের রাজে আগ্রাসী রোষানল।


ক্ষুধা-তৃষ্ণায় মানবতা মূক
বিভাজনে হৃত অগণিত বুক,
অনাহারে দিন শঙ্কায় রাত
রিক্ত নিঃস্ব শ্রমিকের হাত।
শিশু হারা মা, মা-হারা শিশু
মানব মানবী ফুল পাখি পশু,
কেউ সুখি নেই, পিশাচী শাসনে
অমঙ্গলের এই নীরাজনে,
অবতার রূপে দানবের শত অকল্যাণের ডাকে,
বসুধা খরায় জলধি গহনে কল্মষ আজ ঢাকে।


এই ভাবনায়, এই চিন্তনে, এই কবিতায় শ্লোকে চিড়,
গতিবেগে ধাওয়া আবেগী হুজুগে ভান ভনিতার ভিড়।


আদবে লেহাজে ফাটল এখন
বিসারী প্রচারী আপন সাধন,
নেই কিছু আজ ধীরস্থির, তাই
সব দ্রুত চাই, সবকিছু চাই।
প্রতিবাদী ঝড়ে তান্ডব নেই
যা কিছু দেখছি তা-ই পোস্ট দেই,
ছবিতে বিভোর ছবিতেই বোধ
লাইকে শেয়ারে সব ঋণ শোধ,
বিপ্লব শুধু ফাইভ জি-তে, নেই রাজপথে প্রান্তরে,
মানবতা তাই ধুকছে মরছে অভিশাপে অনাদরে।