কখন কবে নিঃস্ব হয়েছি
তোমার মনে নেই,  
মনে নেই আমারও।


নিকাশী শূন্যতার অসিত আলোয়ানে ঢেকে
স্মৃতির সূঁচে আপোষ সূতোর সীবনে
কে কবে মনের জরদকে আড়াল করলো,
তোমার মনে নেই,
মনে নেই আমারও।


দুজনার কারোই মনে নেই
কখন কবে বোঝাপড়ারা
সীলগালা করেছে মনের ঘরের দরজা।


কোন প্রহরে হলো
প্রেমের অনিল রুদ্ধ ঘরের ভ্যাপসা বাষ্প,
অভিলাষী মাতাল রজত জোছনা নির্বেদ কৃষ্ণপক্ষের মেটে চন্দ্র-মাসুল ...


নির্নিমেষ দৃষ্টিযুগলের মৌনী সুললিত কথোপকথন
কখন হলো বিশীর্ণ দীর্ঘশ্বাসের রোদন,
কবেই বা মনের ঝরনাতে মিশলো
হিসেব-জহর, নিয়ম-গরল, সমাজ-ব্যাধি ...


ভাবনা-নদীর জল শুকিয়ে কখন পড়লো চিন্তা-চর,
মানব মানবীর সাদামাটা ভালোবাসার কাব্য নিয়ে কে কখন করলো
শব্দতত্ত্বের বিদগ্ধ প্রশ্ন,
ভাষাতত্ত্বের তীব্র সমালোচনা,
ভাবতত্ত্বের বিদারক বিশ্লেষণ ?


এসব কিছুই এখন আমার মনে নেই,
মনে নেই তোমারও।


কে কবে কখন নিঃস্ব করেছে মনও মনে রাখেনি ...
সহস্র হিম-রজনীর জমাট অভিমানে
সে শুধু মনে রেখেছে,
নিঃস্ব হয়েছে।


তুমি-আমি-মনের নিহিত আসরে
অন্য কার আঁচড়-দূষণ ...
আমরা কেউ জানিনি।


মূক অপলাপের নিমীলিত আক্ষেপে
আমরা শুধু জেনেছি ...


নিঃস্ব হয়েছি।