বিস্তৃত বিষয়বস্তুর অপ্রতুলতা, আমাকে কালেভদ্রে করে সংকীর্ণ,
ক্ষীণকায় হয়ে বসে থাকি ইলাস্টিক চিন্তন বিন্দুতে হতে বর্ধন।
কখনও সখনও বিন্দু থেকে বৃত্ত কিংবা অসীম বক্র রেখা কিংবা-
হাজারও আকৃতি পায় ধ্যান মগ্ন আমার সাধের ভাবনা বিন্দু।
বিন্দু আমার কবিতার শোলক, বিন্দু আমার ত্রিলোক কিবা আলোক।
চিন্তা বিন্দুর সুতো দিয়ে বাগানের বাছাইকৃত শব্দফুল দিয়ে গাঁথি মালা।
আমার শত যতনে শত আদরে গাঁথা যে নিতে চায়, পড়তে চায়,
তাকেই পড়িয়ে দেই, করে নিই তাকে আমার বিবাহিত বধূ।
লাগে না কবুল বলা, লাগে না পালকিতে চড়া, কেবল-
আমার গাঁথা মালা পছন্দ হলেই হল তাকে বধূ করে নিই আমি।
আর আমার নব নব বধূদের জন্য গাঁথতে থাকি মালার পর মালা।
বিন্দু আমার বিস্তৃত হয়ে আমার বিস্তার ঘটায়, মালা থেকে মালায়।
আমার তাবৎ জগৎ সাজাই আমার গাঁথা মালায়-
যেন আপন বাসর আপনি সাজান-গোছান যাতে রাত্রি-দিন যাপন।
তাই সংকীর্ণতা-বিস্তৃর্ণতার পথ পেড়িয়ে-
আমার বিন্দুই একমাত্র সহায়-সম্বল-অবলম্বন ওর সাথেই আমার জীবন-যাপন।


("কুয়াশা ভরা রাতে সমুদ্র স্নান" কাব্য গ্রন্থ থেকে নেয়া)