মানুষ যদিই রে না থাকে!
তবে ধর্ম-আচার করবে কে?
ধর্মের জন্য তো মানুষ নয়।
মানুষের তরে ধর্ম নিশ্চয়।
মূর্খ-আস্তিক বুঝিস না কিছু!
নাস্তিক হলেই ধাওয়া পিছু!
সাথে নিয়ে চাপাতি কিছু!
কতল করলেই ধর্ম হবে উঁচু?
দেখ না চেয়ে তোর কারণে,
নিচু হচ্ছে ধর্ম দিনে দিনে।
তুই বুঝিস না যুক্তি বুদ্ধি!
কিভাবে হবে ধর্মের শক্তি-বৃদ্ধি?
দেখ না চেয়ে বাঘের কত শক্তি।
তাই বলে মানুষ করে ভক্তি?
পশু আর মানুষে হয় তফাৎ-
মানুষ করে বুদ্ধিতে বাদানুবাদ।
আর পশুর ক্ষেত্রে কিন্তু তা না।
সে না বুঝে দেয় যে হানা।
তুই তো তেমনি ধর্ম কানা।
মানুষ মেরে ধর্মের গাহনা?
এটা কিন্তু ধর্মে আছে মানা।
তোর তো আবার এটা অজানা!
কেননা পশুর আবার জ্ঞান জানা!
তাই পরের কথা চিন্তা না করে,
ক্ষমা চাও নিজের জন্য প্রভূ-তরে।
কেউ যদি বা হয়ে যায় নাস্তিক।
আল্লাহ্‌ কিন্তু অবশ্যই জানে ঠিক।
জানে সবে তিনি সর্বশক্তিমান।
তিনিও তো নেয় না নাস্তিকের জান।
কারণ তিনি ভালবাসেন তার সৃষ্টি।
সবার প্রতি তাঁর আছে মায়ার দৃষ্টি।
তাই মূর্খরা সব আল্লায় রাখ বিশ্বাস।
নাস্তিকক-হেদায়াতে আল্লার আশ্বাস।
হেদায়তের জন্য তিনিই যথেষ্ট।
আল্লা বিনে অন্য এলে হবে অনিষ্ট।