চৌরাস্তার মোড়ে লাল সাঁকোর কথা
তোমার কি একটুও মনে পড়েনা?
যেখানে তোমার আমার প্রেমের হয়েছিলো শুভ সূচনা।
যেখানে বসন্তে কোকিল বেঁধে ছিলো ঘর
কৃষ্ণ চূড়ার ফুটেছিলো ফুল
যে প্রেমের রাজসাক্ষী নিস্তব্দ নদীর দু'কূল।
তোমার কি মনে পড়ে?
সিন্ধ সকালে শিশিরে ভেজা ঘাস
আর মালতি ফুলের লতা
ভোেরর পাখির মত কলকাকুলিতে জাগতাম দুজন
চেয়ে থাকতো প্রভাতের সূর্য
ফুটন্ত রজনীগন্ধার দু'পাশের দুটি পাতা।
তোমার কি মনে পড়ে?
স্কুল মাঠে কানামাছি খেলার স্মৃতি
মুক্ত পাখির মত সবুজ ঘাসে হাঁটতাম দুজন
আর গোলাপি দুটি ঠোঁট নেড়ে তুমি গাইতে গীতি।
বেলে মাটির উপর তুমি আমার আঁকতে কত ছবি
তোমার প্রেমে দেবদাস আমি কিংবা উদাসীন কবি।
তোমার কি মনে পড়ে?
দক্ষিনা পুকুর ঘাটের অপূর্ব দৃশ্য
যেখানে বৈশাখের মেঘ জমতো
অঝোরে নামতো বৃষ্টি
যেখানে তোমার রুপ লাবন্য কেঁড়ছিলো আমার দৃষ্টি।
তুমি কি ভুলে গেছো ? বোলে ছিলে
আসিছ সন্ধ্যায় পুকুর ঘাটে
যেখানে জ্বোনাকি জ্বলে মিটমিট করে।
তারপর দুটি বছর কেটে গেলে অধীর আগ্রহে
ফিরলোনা সে মধুর সন্ধ্যা
তবে জ্বোনাকিরা এখনো জ্বলে।
শত চেষ্টা করেছি নিতে তোর একটু খোঁজ
আজও পোস্ট অফিসে চিঠির জবাবে
দাঁড়ি থাকি রোজ।
পাড়ার লোকদের মুখে শুনি
তুই নাকি চলে গেছিস দূর শহরে
ঈদের ছুটিতে আসবি এবার
আমাদের অজপাড়া গাঁয়ে।
তাইতো প্রতিদিন প্রতিটি প্রহরে
হাজারো স্মৃতি ভাবতে ভাবতে
দাঁড়ি থাকি চৌরাস্তার মোড়ে
দুচোখে অস্রু নামে কোপড় যায় ভিজে।
তোমার কি মনে পড়েনা?
বাবুস্যার আর ভাঙ্গা স্কুলের স্মৃতি
যেখানে লুকিয়ে আছে আমাদের শ্বাসত প্রেম প্রীতি।
তুমি কি করে এত নিষ্ঠুর হলে শুনি?
নাকি অন্য কোথাও খুঁজে নিয়েছো দিঠি।
তারপর সতেরোটি বছর কেটে গেলো
তোমার আশায় আশায় চেয়ে
বারবার মনে পড়ে
পুতুল খেলায় আমি বর সাজতাম
তুমি থাকতে বউ সেজে।
তোমার কি মনে পড়ে বড় বুবুর কথা?
যে বলতো পুতুল গুলো কার
মাঝে মাঝে হুট করে এসে
সব ভেঙ্গে করতো চুরমার।
তারপর তেত্রিশটি বছর কেটে গেলো
আসলেনা তুমি গাঁয়ে
তোমার অপেক্ষায় সেই ছোট্ট নদী এখনো চলছে বয়ে।
সন্ধ্যা বেলায় আজও বসে থাকি
দক্ষিনা পুকুর ঘাটে
দুচোখ আমার আপেক্ষার প্রহরে তাকিয়ে রয়েছে হাঁটে।