(শিশিরকণার মৃত্যুতে যে শোক দুর্বাদলের
ঈশ্বর তার নৈর্ব্যেক্তিক বয়ানে সদাই সাকার)


বালকের পরিযায়ী ব্যাকুলতার মত শিশিরকণাটি যখন সূর্যালোকে বিলীন
তখনো কণার উদ্ভিন্ন রেখায় টুকরো আকাশগুলো কাটছিলো যুগল সাঁতার
আগুনগন্ধি নক্ষত্রগুলো গাইছিল পরানদোহাঁর বাহুতে বেঁধে পৃথিবীর ক্ষীণ ক্বটি।


অগস্ত্য যাত্রায় শিশিরকণা যদি সূর্যালোকে রেখে যায় অদাহ্য হৃদয়
যদি তৃণদল ছুঁয়ে যায় কায়ার আকাশ, বালকের সোনালী চিবুক জুড়ে
থেকে যেত তার ব্যাকুলতাগুলি; আর এভাবেই
অগস্ত্য যাত্রায় ফিরে ফিরে আসত তীর্থযাত্রার দিন।


তার মৃত্যু আসন্ন শৈশবের মত কণার উদ্বাহু
অরূপসন্ধ্যায় তবু চাঁদের খোঁজে আকাশ বিলায়
সবশেষ পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট নির্জন আলোকটুকু
নির্বোধ ছাড়া তখন আর কিছু নয়
আর কিছু নয় অদাহ্য হৃদয় ব্যতীত।


এই বাঙ্ময় শিশিরকণা, এই টুকরো আকাশ, এই আগুনগন্ধি নক্ষত্র
ফিরে ফিরে যাও নিদাঘে; নিদাঘে ফিরে যাও তীর্থযাত্রার দিন
অগরু চন্দনে আর ভূর্জপত্রে রেখে যাও অভিজ্ঞান রেখা।