সকাল থেকেই পিঁপড়ে ছানার
নাওয়া খাওয়া নাই,
মুখে শুধুই একটি কথা
চিনির দানা চাই।
মা বাবাতে কোমর বেঁধে
খুঁজল বহুক্ষণ,
স্বাধ হয়েছে ছানা তাদের
রাখতে হবে মন।
আগে কতই চিনির দানা
থাকত আশেপাশে,
এখন ওসব কোথায় পাবে
কাটেযে হাপিত্যেশে।
বুড়ো বুড়ি সংসারেতে
চিনি কোথায় পাবে,
সুগারের রুগী তাঁরা
চিনি কেন খাবে।
উপায় শুধু একটি আছে
নাতি যদি আসে,
বুড়োবুড়ি নাতিটারে
বড্ড ভালো বাসে।
নাতির স্বাদের সবরকমের
খাবার থাকে ফ্রিজে,
ওখান থেকেই মিষ্টি কিছু
নিতে হবে খুঁজে।
দিন যায় রাত কাটে
আর সয়না দেরী,
কবে যে বাজবে হর্ণ
আসবে নাতির গাড়ি।
নববর্ষের প্রথম দিনেই
এলো শুভক্ষণ,
আজকে তবে সুযোগ আছে
জুটবে বিলক্ষণ।
খাবার টেবিল বেয়ে বাবা
উঠলো উপর দিকে,
মা আর ছানা নজর রাখে
অনেক দূরের থেকে।
ব্রেডের উপর ছোট্ট নাতি
চিনি ঢাললো যেই,
পিঁপড়ে ছানার তাতেই মন
নাচে যে ধেই ধেই।
একটি দানা উপর থেকে
নীচেতে যেই পড়া,
পিঁপড়ে মায়ের একনিমেষে
জাপটে তাকে ধরা।
এমন সময় কাজের মাসি
এলো ঝাড়ু নিয়ে,
চিনিরদানা সরিয়ে দিলো
সেই ঝাড়ুটা দিয়ে।
এদিক ওদিক ছিটিয়ে গেলাম
জ্ঞান ফিরল পরে,
এখনযে আর নেইকো সুযোগ
নাতিই গেছে ফিরে।
দুয়ারেতে সবাই মিলে
অপেক্ষাতে থাকে ,
নাতি ভেবে লোক দেখলেই
আসার লাগি ডাকে।


             ইকারাস