অনিমেষ এই আঁখি পাতে মোর
আবেশ জড়িয়ে আসে
ইহকালে আর দেখবো না তারে
ঈক্ষণ জলে ভাসে
উষাকালে যবে এসেছিলে তুমি
ঊর্বশী সাজ সেজে
ঋজু অন্তরে রেখেছি তোমারে        
এই জীবনের ভাঁজে
ঐরূপ আর দেখবো না চোখে
ওগো মোর প্রাণ পাখি
ঔজসিক আমি নইকো এতো
কেমনে গো বেঁচে থাকি
খনেখনে ভেসে ওঠে দু-নয়নে
গোলাপ রাঙানো মুখ
ঘুরে ঘুরে যেথা খুঁজে পাইতাম
মনঘুঙুরের সুখ
চোখের মনি আমি নাকি তোর
ছন্দে ডাকিতে কতো
জীবনে মরণে একসাথে রবো
ঝড়োহাওয়া থাক যত
কিঞ্চিত দূরে থাকিবো না কভু
টই-টম্বুর মোহে
ঠাঁই হয়ে মোরা রবো পাশাপাশি
ডগমগে প্রেমে দোঁহে
ঢিলামি কভু দেবো না আসিতে
মরণ যদি গো আসে
তবুও মোরা ভালোবেসে যাবো
থাকিবো মিলন আশে
দুজনায় কতো প্রেমালাপ হতো
ধরনীতে ভেসে ভেসে
নয়নে নয়নে ভালোবাসা বাসি
পরাণ উঠিতো হেঁসে
ফুলের বাগানে মিলিয়া দুজনে
বাসর সাজাতাম কতো
ভালোবাসাময় দিনগুলো আজ
মনে ভাসে অবিরত
যাবার বেলায় ভাবলে না ওগো
রইবো কেমন করে
ললাট লিখন কেনো গো এমন
শোকে অন্তর পুড়ে
ষোল আনা প্রেম পারিনি দিতে
সোহাগ কত না বাকি
হাশরের দিনে ডাকলে তোমায়
সাড়া দিও প্রাণ পাখি
গাঢ় আঁধারেতে কাটাবো সময়
হয় যদিও গো দেরি
উৎসবে রবো পাওয়ার আশায়
সঙিন মরণ হেরি
দুঃখের সাগর পাড়ি দিব যবে
চাঁদনী রাতের বেলা
জাগরণে যাবে সব বিভাবরী
স্বপনে করিব খেলা।
*****


রচনা কালঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪