হঠাৎ সেদিন রাতের বেলায়
ঘুমের ঘোরে দেখি
জাতির পিতার সম্মুখে বসা
দু'জনাতে চোখাচোখি।
পরম আদরে মুচকি হাঁসিয়া
শুধালো আমায় ওরে
কি দেখছিস এমন করে
ভাবছিস আমি গেছি মরে?
আঁখি জল মুছে বলি, পিতা!
তা হয় কেমন করে!
তুমি বেঁচে রবে চিরকাল এই
বাঙালির অন্তরে।
শুধায়' কেমন আছে আমার
বাংলার জনগণ?
তোদের জন্য আজোও কাঁদে
আমার অবুঝ মন।
বলি' তোমার শোকে বাংলার
পাহাড়, মাটি ও নদী
আজোও কাঁদে আবার তুমি
ফিরিয়া আসিতে যদি!
কেমন আছে বল আমার রেনু
তোদের দুঃখিনী মাতা
উত্তাল সেই দিন গুলিতেও
সে-ই ছিল মোর ছাতা।
তব নিঃশ্বাসে যার প্রাণ বাঁধা
এই ভবের সংসারে
তোমা হতে দূরে সেজন বলো
থাকিবে কেমন করে?
কামাল জামাল ওরা সকলে!
আমার বাংলাদেশটা?
নব পরিণীতা সুলতানা রোজি
মুছেনি মেহেদি রেশ টা!
ক্ষমা করো হে জাতির পিতা
ক্ষমা করো সন্তানে
ঘাতকের সেই আঘাত আজো
সইতে পারিনা প্রাণে।
বলতো এবার রাসেলের কথা
প্রাণটা জুড়াই শুনে
শিশুকাল থেকেই যাদু আমার
ছিল বেশ মানে গুণে।
ক্ষমা কর ওগো জাতির পিতা
চেয়ে দেখো সম্মুখে
জেগে আছে ঐ লক্ষ্য রাসেল
ভাই হারানোর শোকে।
কেমন আছে দুই নয়নের মণি
আমার রেহানা হাসি
বলতে পারিনি তাদের আমি
কতটা যে ভালোবাসি।
তোমার হাসি আজকে দেশের
কোটি বাঙ্গালীর প্রাণ
দুনিয়ার মাঝে উঁচু করে শির
বাড়ায় দেশের মান।
তার হাতেই আজ তোমার স্বপ্ন
এগিয়ে যাচ্ছে বেশ
একবার এসে দেখে যাও পিতা
তোমার বাংলাদেশ।
*****
রচনা কালঃ ১৮ আগস্ট ২০২৩