তোমার জন্য বুকের মাঝে শক্তপোক্ত করে
স্বপ্ন এঁকে রেখেছিলাম হাজার বছর ধরে।
তোমার জন্য এই হৃদয়ে লক্ষ্য হাজার ক্ষত
আপন করে দেখব বলে দাম দিয়েছি কত!


স্বপ্ন আমার কেড়ে নিতে আসলো কতজন
এমন সাধ্য কে বা রাখে ভাঙে আমার মন।
সতেরোশ সাতান্ন সাল ভুলবো কেমন করে
তোমার জন্য মান দিয়েছি পলাশী প্রান্তরে।


তোমারই জন্যে জান মাল তুচ্ছ সবই মানি
জানে সারা বিশ্ব মোরা জীবন দিতে জানি।
আঠারোশ সাতান্ন সালে শুধু তোমার তরে
প্রাণ দিয়েছি আবার মোরা একশ বছর পরে।


মোদের ভয়ে ফিরিঙ্গীরা পালায় এদেশ ছেড়ে
পশ্চিমা ডাকাতে এবার বসলো চেপে ঘাড়ে।
নিত্য তারা চালায় গুলি আমার বুকের পরে
তবুও তোমায় পাবার আশা ছাড়েনা অন্তরে।


জল্লাদের অত্যাচারে মোরা মরেছি বহুবার
তোমাকে দেখিতেই ফিরে এসেছি বারবার।
বায়ান্নতে মায়ের ভাষা রেখেছি বুকের খুনে
বিশ্ব অবাক তাকিয়ে রয় এই বারতা শোনে।


বুকের রুধিরে রাঙে কত সাগর নদীর ঢেউ
ফাঁসির দড়ি বরণ করিতে ভয় করিনি কেউ।
দাম দিয়েছি একাত্তোরে পঁচিশে মার্চ রাতে
সর্বহারা করেছে মোদেরে পশ্চিমা ডাকাতে।


পিতা মাতার জীবন গেছে সম্ভ্রমহারা বোন
তোমায় জন্য সব ছাড়িতে কাঁদেনি এ মন।
জানে মালে নিঃস্ব মোদেরে করেছে জল্লাদে
দাম দিয়েছি বুদ্ধিজীবী আজো এদেশ কাঁদে।


দাম দিতে শিখেছি মোরা তোমারে দেখিতে
কার বা আছে সাধ্য মোদের মিলন রুখিতে।
ঊনিশশ একাত্তোর সালের ষোলই ডিসেম্বর
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পেলাম আপন ঘর।


পুব আকাশে মুক্ত স্বাধীন সূর্য উঠলো হেসে
লাল সবুজে রাঙা এই সোনার বাংলাদেশে।
লক্ষ্য ত্যাগে আমার সকল সুখ সাধনা তুমি
তোমায় মাগো লক্ষ্য সালাম প্রিয় জন্মভূমি।
*****


রচনা কালঃ ১৭ জুন ২০২৩