স্বাধীনতা আমাদের, আমরা স্বাধীন জাতি
এই স্বাধীনতাকে আপন করিতে হারিয়েছি কত জ্ঞাতি।
কখন থেকে কিভাবে হলো এই 'স্বাধীনতা' শব্দটি এতো আপন?
শোনো তবে আজ তোমাদের মাঝে এই গল্পটা করছি আমি জ্ঞাপন।


পরাধীনতার শৃংখলে থেকে শত বছরের শত সংগ্রামে গাইছিল সবে শিকল ভাঙার গান,
এই মাটি জল, সোনালী ফসল আপন করিতে দৃঢ় প্রত্যয়ে একাট্টা হয় যায় যাবে যাক প্রাণ।
বহুদূর হতে অচেনা পথে ছাত্র, যুবক, টোকাই, শিশু, আবাল, বৃদ্ধা, বেশ্যা, ভবঘুরে, কৃষক, শ্রমিক, নারী, পুরুষ আরও কতো মুক্তিকামী মেহনতি কোটি জনতা দল বেঁধে এসে সমবেত হয় হাতের মুঠোয় মৃত্যু আর দুচোখে নিয়ে স্বপ্ন।
মুক্ত স্বাধীন দেশের নেশায় নতুন বারতা শোনার আশায় সকলেই ছিল অধীর আগ্রহে মগ্ন।


ছোট বড় সবে হয়েছে মিত্র তৈরি করেছে মানচিত্র উড়ায় পতাকা আনবেই স্বাধীনতা,
স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে জনপদ অধীর আগ্রহে কান পেতে রাখে শুনিতে নতুন বারতা‌।
উত্তেজনায় শতকোটি প্রাণ অপেক্ষাতে করে আনচান কখন মঞ্চে এসে শুনাবেন সেই কাঙ্ক্ষীত বাণী,
অতঃপর কবি আসলেন হিমালয়সম দৃঢ়তায় নির্ভীক বুকে মঞ্চ কাঁপিয়ে জনসমুদ্রে শোনালেন তার অমর কবিতা খানি।


'ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো, তোমাদের যা যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’


মূলত এটাই ছিল এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতার অমোঘ ঘোষণা, তখন থেকেই আমরা স্বাধীন আর ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি হয়ে যায় আমাদের একান্তই আপন।
*****


রচনা কালঃ ৮ মার্চ ২০২৪