গর্তে বসে আছেন কবি— চন্দ্রগ্রস্ত আঙুলে ঝিলিক দেওয়া কিছু জ্বর, কিছু প্রলাপ, কিছু পরিত্যক্ত কসম
নতুন অলংকারে জড়িয়ে এক নেকলেসপরা অপ্সরা নেমে আসে হৃদয়ের হেমাটোমায়,
স্মৃতি নয়, যেন নৈঃশব্দ্যরেখার প্রতিচ্ছবি, হঠাৎ জল, হঠাৎ হাড়, হঠাৎ হিম
সেখানে কবির পংক্তিমালা গলে গিয়ে তৈরি করেছে এক ধাতব প্রেমের স্তম্ভ
তলপেটে রঙিন বিষ— অপ্সরার হাঁটে অতীতের ফসিল।

হে কবি, তোমার কবিতার কালো শিখায়
জ্বলছে গত জন্মের নোটবুক, যেখানে চুম্বনের বানান ভুলে গেছো বহুদিন,
আরো তলে, পাঁজরে, ক্যানভাসে— রক্তচিহ্নে লেখা সেই নাম— যাকে মুছে ফেলা যায় না কোনো শব্দ-সম্পাদনায়
একটু আগেই উলঙ্গ আকাশ ঝুঁকে পড়েছিল বুকের গভীরে; কোনো চিৎকার ছাড়া!

কবি—
'অ' তে অভিশাপ, 'আ' তে অবগাহন,
এইভাবে কেটে গেলো আরেকটি ক্ষয়িষ্ণু রাত্রি— অপ্সরার নাভিমূলে গড়ে ওঠে নিঃসঙ্গ মন্দির
কবি; পুড়ে যান নিজস্ব দেবতাহীন একাকিত্বে— একা, চুপচাপ, স্বপ্নছিন্ন চন্দনে!