প্রেমিকাকে ভুলে যখন
বউটিকে ভালোবাসবে
বিশাল একটি আশ্রয় তুমি অসহায় হয়ে খুঁজবে ।
আমি তখন সেই আশ্রয় হবো ।
আমি তোমায় আগলে রাখবো অনেক যতন করে  
কষ্টের হাওয়া যেন না বয়ে যায় তোমার সুখের ঘরে।  


আমার মাঝে মাতৃত্ব দেখো এখন ?
একদিন যাকে প্রেমিকা ভেবেছিলে?
যার কন্ঠস্বরে  কামনা জেগেছিল তোমার
যার রাঙা ঠোঁটে ডুবে যেতে চেয়েছিলে।
আমি এখন মাটির মুখোশ পড়েছি ।
ভাবলেশহীন মুর্তির অবয়বে।


বুকের ওপর কতো কিছু গেছে চলে ।  
ঝড়, বন্যা, খরায় মাটি হয়েছে শক্ত কঠিন জেনো
আমায় তুমি আরও দিতে পারো।
আমায় আমি চিনলাম নতুন করে
এই কৃতিত্ব তোমায়ই নিতে হবে।
এতো শক্তি আমার বুকে ছিল
বুঝতে পারিনি তোমায় জানার আগে।


শুধু একটা সত্য গুমড়ে ওঠে মুখোশের অন্তরালে
আমার গভীরে এখনও বেঁচে আছি আমি ।
বুকের ভেতরে এখনো গোলাপ ফোটে ।
বন্ধু তোমার হতে পারিনি আমি সত্যি
মুখোশ কেবল পালটেছি তোমার জন্যে।
অভিনয় কেবল করেছি আমি নিত্য
বুকের ভেতর দাউ দাউ আগুন জ্বেলে ।


ভালবাসার শক্তি অনেক জানি
তোমার শক্তি তারও চেয়ে অনেক বেশি।
আমার সবটকু নিংড়ে দিতে পারি
তোমায় একটু সুখী দেখবো বলে।
এর নাম যদি দেই ভালোবাসা –
আমি এবং আমার মুখোশ কি অমরত্ব পাবে?


৩ পর্বের এই কবিতাটির আজ শেষ পর্ব।
কেমন লাগবে বা আদৌ ভাব প্রকাশ পাবে কি না বা ঘটনার জটিলতার গিট খুললো কিনা ঠিকমতো আমি নিশ্চিত না। আপনাদের গঠন মূলক মন্তব্য জানতে পারলে খুশি হবো।