সভাপতি সাহেব,
বক্তব্যের শুরুতেই আমি আমার
পূর্ণ নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
দক্ষিন এশিয় দেশের বহির্ভূত হলে,
আমি এই দাবি উত্থাপন করতাম না।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি,
বাংলাদেশের নাগরিক।
আমি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যেও-
একটি দাবী রাখছি,
আমার বক্তব্য শুনে,
খুব বেশি হলে,আমাকে;
ধর্মদ্রোহীর খেতাব দিতে পারেন,
দয়া করে রাষ্ট্রদ্রোহী বলবেন না।
আমি বলতে চাই,
এইদেশে আর কখনো বন্যা হবে না।
উপকূলের মানুষ সাইক্লোনে মরবে না।
আমি বলতে চাই,
শ্রমিকরা তাদের বেতন ভাতা-
বৃদ্ধির দাবিতে,
রাজপথে বেঘোরে প্রান হারাবে না।
রাজনৈতিক অসন্তোষের কারনে-
হরতাল ডেকে বিরোধী দল,
আর জন-জীবন বিপন্ন করবে না।
আমি বলতে চাই
কৃষকের নোনা ঘামের –
উপযুক্ত মূল্য দিতে সরকার কখনো
বিলম্ব করবে না।
দেশের অমূল্য সম্পদ গুলো,
বাইরের রাষ্ট্রের কাছে-
সূলভ মূল্যে বিকিয়ে দেবে না।
আমি আরও বলতে চাই,
ধর্ম নামক দুর্গন্ধময় প্রথা থেকে
বেরিয়ে আসবে দেশ।
ধর্মীয়-রাজনৈতিক দলগুলোর
মূল উৎপাট হবে।
ভাইসব আমার!
দয়া করে শান্ত হন!
আমার আরো কিছু বলার আছে!
আমি আরো কিছু বলতে চাই!
আমাকে বলতে দিন,
ধর্মের গন্ডি পেরিয়ে,
আলোর নগরীতে আসুন,
অন্ধকারে আরকতকাল পচে মরতে চান।
উপরে তাকিয়ে দেখুন,
নতুন সূর্য উঠেছে-
নতুন দীপ্তি নিয়ে,
উদ্ভাসিত করার জন্য বাংলাদেশকে।
আমাকে আর একটু বলতে দিন!
দয়া করে শুনুন আমার কথা!
না-না, আমি রাষ্ট্রদ্রোহী নই,
আমায় রাষ্ট্রদ্রোহী বলবেন না।
রাষ্ট্রের অমঙ্গলের জন্য কিছু বলিনি।
যা বলেছি তার সবটাই,
রাষ্ট্রের উন্নতির স্বপক্ষে।
আমি সরকার পদত্যাগের দাবি করিনি,
শুধু ধর্মত্যাগের দাবি তুলেছি।
আমার কথা শুনুন!
আমাকে বলতে দিন!
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শুধু শুধু
বাঙালি জাতির অপমান করবেন না।
এম্নিতেই ধর্মীয় গোড়ামির জন্য,
বিশ্ব-দরবারে অনেক-
সুনাম কামিয়েছি আমরা,
তাই বলছি দয়া করে বলতে দিন আমায়,
গনতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে-
বলার পূর্ণ অধিকার আমার আছে।
না আমায় আঘাত করবে না।
আর আমায় আঘাত করেও
কোন লাভ হবে না।
যা প্রকাশ পাবার তা প্রকাশিত হবেই,
আজ আমি যা বলতে পারলাম না
অন্য কেউ তা নিশ্চয় বলবে।
আহ্......আমাকে থামিয়ে লাভ নেই,
আমাকে—থামিয়ে—মুক্তি—নেই।
আমি শুধু—বলতে চাই............
বলার অধিকার আমার কি নেই.........