শৃঙ্খলা শব্দটি উচ্চারিত হয় বারবার;
কারণ উশৃঙ্খলা এসে তছনছ করে দেয়।
বিশৃঙ্খলা চুপচাপ বসে থাকে না।
সে থাকে সজোরে আঘাত আনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে,
একটা পরিবর্তনের আশায়।


খুব নীচু জায়গায় দাঁড়িয়ে, নীচু পদে থেকে,
শৃঙ্খলা শব্দটি ব্যবহার করা যায় না।
এটা উঁচু দরের মানুষ, উঁচু চেয়ারের ওপর
দাঁড়িয়ে বলতে হয়।
এক ধরনের চতুরতা বিরাজমান শব্দটির অবয়বে।
পরিবারে আমরা শান্তি চাই, শৃঙ্খলার বিপরীতে
বিশৃঙ্খলার কারণে সুখ নষ্ট হয় না,
বরং গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা বাড়ে।


গাছে ফোঁটা ফুল যখন ঘরে সাজিয়ে রাখি,
তখন ফুলদানিটার কদর‌‌ও কম নয়।
ভারসাম্যতায় শিল্পনীতি শিল্পী তুলে দেয়।


বাইরের জগতের বেলায় শৃঙ্খলা মূখ্য,
কারন এটা যারা তৈরি করেন;
তারা জানেন তাঁরা প্রধান চরিত্র।
বাকি সব দর্শক,জনতা
ওতপেতে আছে উশৃঙ্খল জনতা, অবশিষ্ট র‌ইল বিশৃঙ্খলা।
যার ভয়ে ভীত হয় বারবার।
পরিবর্তন তো এখান থেকেই শুরু।


ন্যায়,অন্যায়, সাম্য কিংবা বৈষম্য,
সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় বিশৃঙ্খলায়।
শৃঙ্খলায় এক ধরনের অক্ষমতা, বিস্ময়, দাসত্ব আছে
প্রভুদের খুব পছন্দ শৃঙ্খলা শব্দটি।
নিয়মের ঘেরাটোপে আবদ্ধ জীবনের হাহাকার আর;
ব্যত্যয় না ঘটানোর চেষ্টা।