মা মানে সূর্য তারা, মা মানে জীবন ছাতা
জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, শক্ত হাতে বৈঠা ধরা।
মা আমার মা, বুকের মাঝে চেপে রাখা মানিক রতন।এই মা কারনে কিংবা অকারণে মিথ্যা বলেন,
মা তুমি কেমন আছো? সদা উত্তর ভালো,
যদি ও জানি বাতের ব্যথায় ককিয়ে ওঠে সারাবেলা
মা , তোমার কিছু লাগবে?
না, না আমার কিছু লাগবে না।
সব আছে, যদি ও জানি অনেক কিছুই দরকার,
দিতে গেলে মা বলেন অকারণে পয়সা খরচ করি।
রাতের পরে রাত জেগে মা সেলাই করেন জামা,
অথচ সেই মানুষটির​ নিজের শাড়ি তালি।
মাছের পেটি, মাংসের টুকরো খেতে পারেন না,
ডাটা কিংবা কাটা মাছ চিবিয়ে খান ভালো।
ভালো কিছু দিতে গেলে মা বলেন লাগবে না খুকি,
দিনের পর দিন চলে যায়, সময় মেলে না।
মাঝে মাঝে ফোন দিলে মা যে কি খুশি,
চাকরি আর ব্যস্ততায় দিন চলে যায় এভাবেই
মায়ের কথা ভাবতে যাব, এমন সময় কোথায়?
মাঝে মাঝে বলি মাগো, আমার কাছে থাকো,
মা বলেন , তোদের ঐ বদ্ধ খাঁচা ভালো লাগে নাকো।
যতই বোঝাই , দূর পাড়া গা, যদি কিছু হয়
হেসে বলেন পরশী আছে , ভয় করিস না।
ছেলে বৌয়ের সংসারেতে জায়গা হলো না,
কেমন করে হয়? চোখে যে তার ছানি।
ফিডার ধোয়ায়, কাঁথা ধোয়ায় ভীষণ গাফিলতি,
মেয়ের বাড়ি , জামাই  বাড়ী , কেমন করে থাকি?
তাই তো তুমি জানতে চাও, বূদ্ধাশ্রমের বাড়ী?
মাগো, তুমি শুধু এইটুকু লোভ ছাড়,
ছেলে আমার খাটিয়া ধরবে,
আশাটুকু ছেঁড়ে, শুধু একটা কথা বল
আমার ঘর, আমার বাড়ী, আমার ঠিকানা  
চাইলে থাকতে পারো,নাইলে পথ দেখ।  
কিন্তু আমি জানি,বিশ্বদরবার ভাগ হলে ও পারবেনা
এই কথাটা বলতে। কারন তুমি মা
বিশ্বজুড়ে নেইকো মাগো তোমার তুলনা।