সে দিন ছিল হেমন্তের পড়ন্ত বিকেল,
ঠিক যেন গোধূলি নয় , নয় সাঁঝের বেলা।
বাতাসে ছিল না শীতের আমেজ,
না ছিল পাখির গান।
এমনো দিনে হয়ে ছিল দেখা।


খুব সাধারণ, খুব সা-ধা-র-ন পরিচয়।
অসাধারণ হবার মত কারণ ছিল কি?
নাম কি? কি পড়ো? কোথায় থাকি?
এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে হলো সময় পার।।


তারপর সময়ের গতি ধরে যে যার পথে;
খবর যে জানা হয়নি, অথবা হয়েছে
দুজনের অজানা।
ব্যস্ত জীবনে শুধু ছুটে চলা,
প্রতিষ্ঠা, গাড়ি, বাড়ি সব হয়ে ক্লান্ত পথিক।
তাই বোধহয় অবেলায় আবার স্মরণ,
নতুন করে আবার প্রশ্ন,
ভালো আছি কিনা?
জিজ্ঞাসাটা ছিল বড় অদ্ভুত,
তুমি আর আপনার মাঝামাঝি।।


বেহালার সুর কেটে গেছে
গেছে বেলা বহুদূর,
তবু ও তার জিজ্ঞাসা,  
ভালো আছি তো?
সমাজের রীতি মেপে উত্তর,
হ্যাঁ, ভালো।
টুকিটাকি কথায় যেন
সময় পার করার কৌশল।।
হঠাৎ নিয়ম ভেঙে ব্যক্তিগত প্রশ্ন,
কেমন চলছে সংসার,
গানটা ছেড়ে দিয়েছি কিনা,
কবিতা পড়ার অভ্যাস আছে নাকি।
আরো অনেক কিছু......


কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলাম,
কিছু বাকি, মনে হলো কি দরকার।
অযথা সময় ক্ষেপণ।
রাত পোহালেই ভোর,
নতুন সূর্য ওঠার পালা।


রাতের আঁধারে স্বপ্ন
দিনের বেলায় অধরা।।
যেদিন যায় চলে
সেদিন নিয়ে যায় তার দাবি।
ফেলে যায় শুধু স্মৃতি,
তাকে না যায় রাখা
না যায় গ্ৰহন।
অতলে হারিয়ে যাওয়া ,
কোন এক বিকেল
ফিরে আসে না।।