আনন্দ বরিষণে আজ পাখি আসবে আমার ঘরের কোণে
কথা হয়েছিল সেই সে সন্ধ্যায় মিলে মিশে দুজনে গোপনে।


আহা বর্ষা, তুমি থামবে একটু সময় ধরে পাখিটি আসার ক্ষণে
তারপর যত পার বরষিয় তুমি যত পার নেচে নেচে আনমনে।


বৃষ্টিভারে তুমি ও অস্থির জানি আমি, তোমার ও সইছে না তর
চাইছ ভিজাতে এ ধরা: উষ্ণবৃক্ষরাজি, মৃত্তিকা, শুকনো খড়ের ঘর।


আমি ও তো তার অপেক্ষায়, ভালবাসার মেঘমালায় বৃষ্টি ঝরিয়ে
ভিজাতে চাই প্রেয়সীরে আমার, প্রাণ প্রিয় সুখ পাখিটিরে বৃষ্টি ধারায়।


ওগো বর্ষা তুমি ঝরবে না কিছুক্ষণ তারপর ঝরো যত পার ঝর ঝর
ডানা মেলে আসবে পাখি ভিজতে দিও না তারে শুধু অপেক্ষা কর একটি বার।


জানি আমি এধরায় ডোবা, নালা, পুকুর, খালবিল জলে ভর ভর
নাচছে কোলা ব্যঙ, গাইছে সোনা ব্যঙ, শাপলা পাতা কাপছে থর থর।


তবুও তুমি ঝরবে না একবার শুধু সোনা পাখিটি আসবার
তারপর তুমি ঝরো উন্মাতাল ডেক ব্যঙেদের সঙ্গে নাচবার।


রাখ কাছে বৃষ্টি সাজাতে কেঁয়া, কদম, বেলী আর ঝুমকো জবার দল
অথবা বাদ্য বাজাতে কাশ বন আর বাঁশ বনে ঝির ঝির বৃষ্টিরজল।


তুমি মিটিও জ্বালা যখন কৃষাণী ছোটে অন্ন লয়ে মাঠে কৃষাণের ক্ষুধায়
যখন ক্ষুধিত কৃষাণ হাল ধরে হাতে ক্ষুধার জালা বলদের পিঠে মিটায়।


অথবা আষাঢ়ের গোধূলি লগণে একদিন প্রাণ ভরে বর্ষিয় তুমি আবার
যখন পল্লী বধূ লাল শাড়ীতে ভরা কলসি কাকে ফিরবে স্বামীর দুয়ার।


তবু এ ক্ষণেতে তুমি সবুর কর আসবে মোর পাখি এবার এথায়
যেথায় তোমার বরষ সুরে বাঁধা রয় পল্লী বধূর সুখবেদনা নকশীকাঁথায়।