তোমরা পড় আমার এ কবিতা খানি,
জন্মজন্মান্তর থেকে লিখছি না আমি।
আমি সেদিনের শিশু ,কবিতার কি বা জানি
তবু তোমরা পড় আমার এ ছোট্ট কবিতা খানি।


জীবন কিতাব, কাব্য বা মহা কাব্য
কার সাথে কি ভাবে তারে তুলনা করে যাব
কতশত পৃষ্ঠা হবে বা তার, আরো কত কিছু রচিব।
জানি না বা কোন গ্রন্থের মধ্যে হব অন্তর্ভূক্ত।


ক্ষুদ্র প্রাণ আমার তবু আমি রচিব
শত সুখ আর শত বেদনার কথামালায় সাজাব,
আমার জীবন কাব্য, জানি নয় অনবদ্য তবু রব
কবিতার পঙতি মালায়, রব অন্তরে, কারো গলে না পরাব।


তোমরা পড় আমার এ কবিতা খানি
জন্মজন্মান্তর থেকে লিখছি না আমি।
আমি সেদিনের শিশু ,কবিতার কি বা জানি
তবু তোমরা পড় আমার এ ছোট্ট কবিতা খানি।


আমার সহজ সরল জীবন নদী,
এঁকে বেঁকে যাচ্ছিল বেশ, বয়ে নিরবধি
দুকূলে জল ভর ভর, মাঝি ধরে হাল, ছেড়া পাল বাঁধি
দুকূলেরে উর্বরা করে ছুটে চলা এ ছিল আমার জীব্ন নদী।


হঠাৎ শুনলাম আমি কে যেন নদী তীরে বসে
রিন রিনে সুরে পড়িছে জীবন কিতাব খানি কেঁদে হেসে।
কে যেন রেখে গেছে তাঁরে, রেখে গেছে অফুরান ভালবেসে।
গাইছে বেদনার বাণী, ভাসিছে সুখের রানী  চোখে জল টলমল নদীকুল ঘেষে।


এ আমার জীবন চলা নদী, নৌকা চলা শেষে
ঢেউগুলি তার আছড়ে পড়ে নির্বাক কূলেতে এসে।
ভিজে যায় গাছ গুলি, ঘাসগুলি কাদা মেখে নদীতট বেশে,
নিরবে শুকায় আবার ধুয়ে যায় জোয়ারের জল এসে।


বলবে কি আমায় তুমি? ওগো রুপ রমনী
কেন তুমি কাঁদছ আবার হাসছ বসে একাকিনী?
কি লেখা আছে , তোমার ও জীবন কিতাবে, বলগো অভিমানী।
আমার এ ঘোলা জলে, তোমার ও দুঃখ মিলে একহতে পারবকি কোনদিনি?


যত আছে ফেলে যাও, ঢেলে যাও তব কিতাবের বাণী
তুমি ছিলে কোনসে রাজার রাজপ্রাসাদে, কোনসে মহারানী?
কেন বা এলে ছুটে, কেন এলে নদীতটে কেন তব ব্যাথার ধরণী?
বিনা ব্যথায় বল মোরে, বল মোরে প্রাণ খুলে আমি ও তো বয়ে চলেছি দিবস যামিনী।


শুন তাহে ওহে নদী ঘুচাতে পার যদি আমার এ মন জ্বালা,
বলিব প্রাণ খুলে কিতাবের পাতা ভুলে পরাব তোমারে ভালবাসার মালা।
রচিব নতুন করে জীবনের কিতাব খানি, নবরুপে হবে শুরু নব নব পথ চলা
মিশাব জীবন আমার তোমার জীবনের সাথে, করব শুরু নতুন এক জীবনের যাত্রা পালা।


আমি ছিলাম মুক্ত বেশে, উন্মুক্ত আমার দেশে
দিবা নিশি সুখে দুখে আমিই তো ছিলাম আমার পাশে।
সারাদিন ছুটো ছুটি, করেছি লুটোপুটি ফাগুনের রঙিন বাতাসে।
কখনো বা আষাঢ়ে, শাপলা ও পদ্ম পাড়ে,  বৃষ্টির সুবাস জড়ায়েছি কালো কেশে।
  
হঠাৎ ফাগুন বায়, আমার এ নবীণ হৃদয়, রাঙিয়ে গেল কে!
না বুঝিবারে কিছু , না চাহিবারে পিছু ,বাঁধিল আমাকে সাত পাকে।
বুঝিনি ভালবাসা, ছিল না স্বপ্ন আশা, তবু মন আনচান আরো একবার দেখি তাকে।
কেন এল বর বেশে, আমার উন্মুক্ত দেশে, ফুল মালা গলে পরে আমার এ জীবন বাঁকে?


নিয়েছিল নিবিড় করে, বেঁধেছিল বাহুডোরে, আমারে আপন করে
আমি ও উথলিয়ে, আপন পর সবই ভুলে, বন্দি হয়ে ছিলাম মধুর সে প্রেম ডোরে,
বুঝেছিনু এ আমার নতুন জীবন, এ আমার অতি আপন, পারিব না বন্ধন ছিড়িবারে
হয়েছিনু সম্মোহীন, পারিব না কোন দিন ভুলিবারে, আমার প্রাণ ছিড়ে হারাতে আমার স্বামীরে।


হায় মোর জীবন কিতাব, এখন সে শুধুই পরিতাপ
ভালবাসা মিছে আশা, এনে দিল জীবনে শধুই অভিশাপ
ভালবাসি আমি তারে তবু আসি অন্য দ্বারে বুঝি এ মহাপাপ,
তাইতো মানিনি বাঁধা, আজি আমি কলঙ্কীনি রাধা, সভ্য সমাজের মিথ্যে পাপ।


বুঝেছি তোমায় আমি ওগো রুপ রমনী
কেন তুমি কাঁদছ আবার হাসছ বসে একাকিনী
আমার এ নদী তটে এসেছ শীতল হতে ভুলতে সে সুখ রজনী।
কেমনে আমি বল, রাখিব তোমায় ভালো ওগো সুখ প্রেয়সী অভিমানী?