এইতো ছুটি শেষে, সবে ছুটে আসছিল কাজে
কর্মস্থলে, কেউবা নতুন কাজের খোঁজে,
কেউ বা ফেরে আবার নিজ বাসভবন,
স্বামী-স্ত্রী সংগে সন্তান, পরিবার পরিজন।
অনিশ্চিত; কেউ জানেনা ঘটবে কি কখন-
তবুও ছুটে চলা খোদা ভরসা,
ধরনীতে ছুটা ছুটি যাওযা আর আসা।
কে জানিত ঐক্ষণে পদ্মার তিমির প্রাণে
সলিল সমাধি হবে, সিক্ত হবে বহুজনে।
তিন শতাধিক জনে ভরা ছিল এক লঞ্চ
যাওয়া আসার আনন্দে হয়েছিল রঙ্গ মঞ্চ।
তখনো তো জানত না কেউ,
এই বুঝি এল মৃত্যু ঢেউ,
নিজ চোখে দেখেও মৃত্যু ফিরতে পারেনি কেউ।
ধীরে ধীরে নদী জলে লঞ্চটি ভারি হলে
চিৎকার-চেচামেচি, বাঁচাও, বাঁচাও বলে ও
বাঁচতে পারল না কেউ।


শত নিঃশ্বাস শতশোকে মিশে গেছে নদী বুকে,
ঢেউ গুলি আঁখি জলে তীরে আসে সলিল শোকে।
হারিয়ে গেল কত শতজন,
কারো গেল ভাই, কারো গেল বোন
কোন মা কেঁদে ফেরে, কেউ হারাল সকল প্রিয়জন।


কত যন্ত্রনা সয়ে, গেল কত কান্না বয়ে
তবু ভিজল না নিষ্ঠুর পদ্মার মন,
কত আহাজারি তবু না কোন বিনয়, না শুনে অনুনয়,
পদ্মা রাক্ষসী সে যে, সব কিছু টেনে নিল তখন।


সর্বগ্রাসী পদ্মা গিলে খেল শত শত প্রাণ,
থেমে গেল আহাজারি হল জীবনের সলিল সমাধান।