ঃ চলো না আজ ব্যলকনি ছাড়ি
:- কোথায় দিতে চাও পাড়ি?
ঃ চলো আজ থিয়েটারে যাই
:- শুনেছি আজ ভাল ড্রামা নাই।
ঃ বুঝেছি, তুমি যেতে চাও না এইতো?
কতক্ষণ থাকবে, ব্যালকনিতে শোভা বাড়াতে,
দিবানিশি অর্কিডের মত?
:- তোমায় বড্ড ভয় হয়,
কথা বল্লেই পড়ে যাই দ্বিধায়।
:-সিনেমাতে যাবে নাকি সন্ধ্যায়?
“রোমিও জুলিয়েট” তোমারই অপেক্ষায়।
ঃ “রক্ত করবী”তে ছুঁইলো না মন
ভাল কি লাগে রোমিও জুলিয়েটের বিষমাখা চুম্বন?
:- চলো তবে যাই উদ্যানে,
প্রশান্তি এনে দেবে তোমার উত্তপ্ত প্রাণে।
ঃ চলো, তবে... পড়ন্ত বিকেলে,
যখন সূর্যের আলো নরম নরম ঝলমলে।
:-প্যারাডো নাকি পাজেরু?
নাকি...রাজ রানী, নেব ঘোড়ার গাড়ী (হাঃহাঃ)
ঃ এই যে, হচ্ছে কিন্তু বাড়াবাড়ি
খালি পায়ে হাটি আজ?
:- ঠিক থাকবে তো তোমার সাজ?
তবে পাতলা শাড়িটি পরোনা,
উঁচু হিল জোড়াতে ও মানা, চুল গুলো....খোলা রেখো
ঃ এই তুমি...দুষ্টু কোথাকার, এখন চুপ থাকো।
:- না, তোমার রূপ দেখে আমি তা পারিনা
চুপ থাকা আমার কখনো হবে না
:-হাসো তো একটু ভাল করে,
ড্যাফোডিলের পাতলা পাপড়ি মেলে।
ঃ দুষ্টু কোথাকার, (চিবুকটা বুকে জড়িয়ে)
কি যে হবে আমার! তুমি যমের দুয়ার গেলে।
:- ভেবো না তুমি
কোথাও যাব না ছেড়ে তোমাকে আমি।
আমার ভালবাসা জড়াবে তোমায়
মাধবীলতার মত,
ঃ সে ভালবাসায় সুখের স্নেহ মাখা
চাঁদের গায়ে ঝরবে অবিরত।
(এক সাথে) হাঃ হাঃ হাঃ