এখনো তো আছে জেগে ঈদের চাঁদ
পূজা মন্ডপে নৈবেদ্যের গন্ধ রন্ধ্রে রন্ধ্রে,
মেখে আছে পূজার গায়ে সেই অপবাদ,
রহিমার উরুতে এখনো যন্ত্রনা-
উত্তাল সেই আনন্দে।


যখনই একলা পথে হেটেছিলাম
হৃদয়টা ঘেমে উঠেছিল
ভিজে মেঘের মত
এখনো চলে মন্ডপের আড়ালে
মদ্যতা ও মেয়ে মানুষের
নিঃশব্দের বিসর্জন যত।
বিয়ের প্রলোভনে নেতিয়ে থাকে
রহিমার নিথর দেহ
প্রতিকার করেনা কেহ
সকলের খুশি, ঈদ চাঁদের মত হাসি।
পাড়ায় পাড়ায় বৌদিদের ছড়াছড়ি
আগের মত নেই কেউ আর
কি গ্রামে, কি শহরে
শুধু ভালবাসার ওড়াউড়ি।
মেদময় উদর,
গোপনাঙ্গের কিঞ্চিত রৌদ্র দেখার আস্ফালন
এ যেন সেই সব উৎসবের আয়োজন


একলাই পথ চলতে গিয়ে
হোচট খেয়েছিলাম বার কয়েক
বুড়ো আঙ্গুলের নখের অবস্থা
এখন দারুণ বিশ্রী
চলতে কিছুটা কষ্ট হয়
তবু পথ চলতে হয়।


এবার পূজোর এই ছিল অভিজ্ঞতা
সমাজ এখন পুরোটাই ল্যাংটা
পতিরা জানে না কেউ
পত্নী তুলেছে দেহে যত্নের ঢেউ
বিধিনিষেধের বলাই মানেনা কেউ।
ধর্ম এখন স্বাধীনচেতা
বজ্রআটুনি ফোসকা গিরো
ধর্মের বিশ্বস্ততা।
কারো দিলে ভয় নাই যেন ক্ষয় নাই
কেলেঙ্কারী যেন হয়েছে অলংকার
পতি ছাড়াও পত্নী খোঁজে আরো এক নতুন অধিকার।
বুঝি মানুষ এখন আর শুধু মানুষই নাই
পেয়েছে হয়ত কোন এক নতুন পরিচয়।