(তোমাদের মধ্যে মালালা কে, কে মালালা?-বাসে উঠেই বন্দুকধারী জিজ্ঞেস করে।এ সময় মালালা বলে ওঠে, ‘আমি মালালা’। সঙ্গে সঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গুলি।লুটিয়ে পড়ে মালালা।পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় গত ৯ অক্টোবর, ২০১২ তালেবানের গুলিতে আহত হয় মালালা ইউসুপজাই, তবু মৃত্যুতে ভীত নয়।এই অকুতভয়, বিজয়িনী, বিশ্ব জয়ী নারীকে তার নোবেল প্রাপ্তিতে আমার তথা সমগ্র বাংলার নিপীড়িত, নির্যাতিত, শিক্ষা বঞ্চিত সকল শিশুদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাতে এ ক্ষুদ্র কবিতা।)
===============================================================
অভিনন্দন গুলমাকাই
শিমুল দত্ত
====================================
আমার ক্ষুদ্র পরিসরে রচিনি তো কখনো বৃহত্তের প্রাসাদ
দেখেছি তোমারে জেগেছে মনে নতুন স্বপ্নে বাঁচিবার সাধ।


সূর্যের রশ্মিতে বিরাজিত শক্তি ধরাতে যেমন জীবনের দান
শিক্ষার শক্তিতে আলোকিত হল তোমার এ অজ্ঞানী ভূবন।
হয়েছে জন্ম যেথা হোক, হোকনা নৃসংশ কোন উপত্যকায়
কর্মে তোমার বিকশিত পুষ্প উন্মুক্ত বাতাসে সুবাস ছড়ায়।
শিক্ষার্থী তুমি, শিক্ষয়িত্রী, শিক্ষাপ্রসারিনী এক দূর্দমনীয় রমনী
বালিকা জীবনেও পূর্ণতা তোমার, ভাঙনি তুমি, ভেঙেছ শত্রুর ধমনী।
জ্বেলেছ জীবনে বিশ্ব ভূবনে শিক্ষা নামের আলোর মশাল
ছুটে চলেছে তারই টানে দেখ তোমার স্বপ্নের অনুসারি দল।                            
তোমার তেজে তেজস্বী আজি শিক্ষা বঞ্চিত কতনা মানব শিশু
একটি শিশু, একজন  শিক্ষক, একটি কলম, একটি বই বদলাতে পারে সবকিছু।
এমনই তোমার বিশ্বাস অটুট রইবে বেঁচে চিরকাল
শিক্ষার শান্তিতে দুঃসাহসের স্বপ্নেতে উজ্জীবিত রবে মহাকাল।


সাহসিনী তুমি, সু-হাসিনী, জ্ঞানের দীপ্তি প্রজ্জ্বলিত হেম গুলমাকাই
বিশ্ব জয়ের কৃত কর্মে তোমাকে, শুধু তোমাকেই অভিনন্দন জানাই।
=============================================