যাকে ডোনেট করলাম তার দোয়া আর আশীর্বাদ
নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম।সে আমাকে চিনত না বা
আমার পরিচয় জানারও তার দরকার ছিল না তবু
কেমন যেন আত্মার বন্ধনে আত্মিয় হয়ে উঠা কয়েক
মুহুর্তের জন্য। তার আপন জন ও কি জানি কি কারনে
মায়ায় জড়াতে চাইছিল বার বার। তবু ও আমার
নিষ্ঠুর হৃদয় মায়ার সে জালে নিভৃতে জড়ালেও
ডোনার হয়েই ফিরে এল। কারণ এটা মায়া নয়
এটা আমার কাজ এক শরীর থেকে হাজার শরীরে
রক্তের প্রবাহ উজ্জীবিত করাই স্বেচ্ছা-সেবক এক
রক্ত দাতার কাজ।আমার দেহের অপ্রয়োজনীয় শুদ্ধ
এক ব্যাগ রক্তে যদি একটি প্রাণ রক্ষা হয় সেইতো
আমার আশীর্বাদ, সেইতো আমার পরম প্রাপ্তি, কত
চোখের কোণে বরফ স্তুপে জমে থাকা জল শেষ
বার গড়িয়ে পড়ে, নরম ঠোঁটের কোণে হাসির ঝলক
ঝলকে উঠে, জীবিত-মৃতের জীবন-মরণ উল্লাস হয়ে!!



(এটা কোনো কবিতা নয়। শুধু মাত্র একটি অনুভুতি।গত রাতে “ঢাকা মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতাল” থেকে বের হওয়ার পর কিছু কথা মনে বাজছিল কিন্তু ছন্দ পাচ্ছিল না। তাই বিনা ছন্দে লিখলাম।)