ছন্দ নিয়ে খেলা করা আমার এক প্রকার সখ। তাই, প্রচলিত ছন্দ-ধারায় কবিত্ব প্রকাশে আমি বরাবরই আনন্দ উপভোগ করি। এবং এ লক্ষ্যে প্রায়াস চালাতে সচেষ্ট থাকি। অনেক বছর আগে ছন্দের উপর একটি বইয়ে এক ধরনের কবিতার কথা পড়েছিলাম। যাকে ইংরেজীতে বলে TRIOLET  কবিতা। এটি মাত্র দুটি ছন্দের আট লাইনের একটি ছোট কবিতা।


এর নির্দিষ্ট নিয়মটি সহজবোধ্য: প্রথম চরণটি চতুর্থ ও সপ্তম চরণে পুণরাবৃত্তি করা হয় এবং দ্বিতীয় চরণ শেষ বা চুড়ান্ত চরণে পূণরাবৃত্তি করা হয়। শুধুমাত্র অন্তানুপ্রাসগুলো (অন্তমিল) পরিপূর্ণ ছন্দতায় ব্যবহার করতে হয়। বাংলায় এ ধরনের কবিতা ছড়ার ছন্দে (স্বরবৃত্ত) লিখলেই সুন্দর মানায়। এছাড়া মাত্রাবৃত্তে ও লেখার প্রয়াস চালানো যায়।


ছন্দ প্রকরণঃ ABaAabAB বড় হাতের অক্ষরে পূনরাবৃত্তি লাইনের ইঙ্গিত। সুতরাং বলা যায়, ‘পূণঃত্রয়ী’ মাত্র পাঁচটি মূল চরণের কবিতা। কবিতার তিনটি চরণ পূণরাবৃত্তি হয় বলে এটিকে আমি ‘পূণঃত্রয়ী’ বলে অভিহিত করলাম।
------কবীর হুমায়ুন।              সূত্র: বাংলা-কবিতা ডট কম


এই নিয়ম অনুসরণ করে আমার লেখা কয়েকটি ‘পূণঃত্রয়ী’ কবিতা:
(ভুলত্রুটি ক্ষমার যোগ্য)


রস চোর


এই ভর শীত অমাবস্যার তিমিরে,
কে রে তুই খেজুর গাছের আড়ালে?
রসের ভাড়ের শব্দ পেলাম ও ধারে,
এই ভর শীত অমাবস্যার তিমিরে।
তবে তুই রস চোরাদের কেউ কি রে?
বল কেন তুই ভাঙছিস রসের ঠিলে
এই ভর শীত অমাবস্যার তিমিরে,
কে রে তুই খেজুর গাছের আড়ালে?