ছিন্ন বীণার তারে তারে
বেদন বাশির সুর ঝরে
কেমন করে পরাণ রাখি
                  পরাণে


মা তোর সোনার বাংলা দেশে
রাখালিয়ার বাঁশি বাজে বাতাসে
সেথা চপল  কন্যার পায়ের নুপুর
                         সুখ হাসে
নদীর জলে কুলু কুলু
নৌকা চলে  ঢুলু ঢুলু
পারাপারের ঢেউ কুড়ানি সুজন
মাঝির ঘাটে।  
ভরা নদীর জল যে ঘোলা
প্রাণ সজনীর প্রাণ উতলা--
আবার, সূর্যি নামে পাটে।
মাঝি, নৌকা তোমার ভিড়বে কোন ঘাটে?


হেথায় কালো বাঁশ বাগান
হোথায় ক্ষেতে সোনালী ধান
সোদা মাটির পথ ধরে-
চলতে কাঁপে ভীরু পরাণ।


৭১-এর দিন গুলি হায় কেমন যেন ছমছমে পায়
মৃত মৃত ভয় জাগায়, কান্নাগুলো বৃদ্ধ হয়ে
মনের মাঝে কাতরায়।
শেয়াল, কুকুর  মৃত লাশের মাংস ছিড়ে খায়
নদীর জলে লাশ ভাসে, বাঁশ বাগানের গভীর
খাদে, পচা ডোবায় গন্ধ আসে
আপন সুখের ব্যথাগুলো,
ঘাপটিমেরে পড়ে থাকে কান্না হাসির পরশ
                                   মেখে গায়।
তাতে দুশমনের কিবা আসে যায়?


তবু মা তোর সোনার বাংলা
সোনামুখে হাসি ফোটায়।
সব বেদনা ভুলে গিয়ে নতুন সুরে গান গায়।
ছিন্ন বীণার তারে তারে
মুক্ত হাসির সুর ঝরে
তবু ফেলে আসা দিন গুলি যে  মনে পড়ে যায়!!
স্মৃতিগুলো পতপতিয়ে উড়ে
লাল সবুজের পতাকায়।