বাজে কানে চেনা সুর
রাখালিয়া বাশরি হিমেল বায়ে
যায় ভেসে দূর বহুদূর
আমার সোনার বাংলার গাঁয়ে


সবুজ শ্যামল ছায়ায়
কত রূপ মায়াময় পাগল হৃদয়
শ্রান্তির শান্তি মেলায়।
শীতল নদীর স্রোত ধারায়।


এখানে পথের ধারে
ক্লান্ত পথিক চেনা সুর খুঁজে পায়
ক্লান্ত চোখে ঘুম ধরে
সে এক মোহনীয় মোহ মায়ায়


বাজে পল্লীবালার পায়ে
রিনিঝিনি হায় ঘুঙুরের সুমধুর সুর
মনে হয় চিনি তারে
হৃদয়ের মাঝে, নও তো তুমি বহুদূর


মাতাল বাতাস বয়
হিম ধরা অগ্রহায়নে পাকা ধান ক্ষেতে
কৃষানীর হৃদে বয়
সেই চেনা সুর, রাখে আঁচলখানি পেতে


কৃষাণ পাড়ায় বয়
আনন্দের বন্যা সোনা সোনা ধানে
রাত দিন নিদ নয়
সুখের পরশ প্রানে কাটে ধানে গানে।


এলে পৌষ পার্বন
নতুন ধানের গন্ধে মনে নবান্নে
ভরে যায় মন
খেজুর রসে ভেজা পিঠে, মিষ্টান্নে।


এখানে বসন্তে কোকিল
ডানা মেলে নাচে গায় দক্ষিণা বাতাসে
ওড়ে গাঙ চিল
নদী জল নীল রঙে মিশে রয় আকাশে


বাজে সুরে সুরে
নদীগিরি মাঠ সমতল সুদূর
দূরে বহু দূরে
সেই অতি চেনা চেনা সুর