গত রাতে কতবার ভেবেছি তোমায়
বলব বলব।
ভালবাসাবাসির দূঃসাহস দেখাতে পারিনি
তবু পিছু চলব।
ভেবেছি দিনের শেষে সন্ধ্যে বেলা আসবে যখন
তুমি শিমুল তলে
একটি রক্ত রাঙা শিমুলের মালা পরাবো
তোমার গলে।
কৃষ্ণচুড়া গুজে দেব জোর করে তোমার
কালোকেশী খোপাতে
পলাশের পাপড়ি ছিড়ে বাজু করে বেঁধে
দেব তোমার হাতে।
এসেও ছিলে তুমি, তবু ভিন্ন সুরে বললে
কিছু কথা
ব্যথা পায়নি একটুও শুধু বেড় গেল কাজের
ব্যস্ততা।
বললে সেদিন তুমি, যদি বেঁচে থাকি ফের
দেখা হবে।
আপন করে তখন না হয় শিমুল পলাশের
মালা পরাবে।
বুঝিনি তখন ও আমি এ মাটির হাতে
গ্রেনেড ছড়াবে
ধূসর মাটির বুকে তাজা তাজা রক্তের বৃষ্টি
ঝরাবে।
শুনেছি তোমার নিথর দেহ পড়েছিল নদীর
তীরে
তাই আমি ও আর খুঁজতে যায়নি তোমায়
নতুন করে
এক দিকে দেশ অন্য দিকে তোমার দেহ
দান
কামানের গোলা ফুঁটিয়েছি শুধু স্তব্ধতায়
শুধু অশ্রুজলের স্নান।
যখনি হেঁটেছি কোন শিমুল পলাশের
বাগান পথে
তোমার স্নেহ পরশ ভালবাসার স্মৃতি স্মরণ
করেছি হৃদয়েতে
কত হামাগুড়ি দিয়েছি বুকেত ভর করে
রাইফেল কাধেতে
কত রক্ত রাঙা কৃষ্ণচুড়া দলেছি নিরবে
দুটি পায়েতে
হয়ত মৃত ফুল পায়নি কোন ব্যথা অনুভবে
আসেনি তার কিছু
প্রতিশোধের অঙ্গার জ্বেলে যুদ্ধ করেছি কখনো
করেনি মাথা নিচু।
জানকি তুমি আমার কাধের খানিক মাংশ
ছিড়ে গেল এখনি
তীব্র বেগে ধেয়ে আসছে হায়েনার দল
রুষ্ঠ পাকিস্তানী
হয়ত এবার আমার বিজয় হবে মৃতদের
দলে
হয়ত এবার ঘুমাতে হবে তোমার স্বপ্ন রঙিন
কোলে।