এটাকি শুধু পেশোয়ারাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে ?
আমি বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করি না ওদের
যাদের ভেতর কোন নৈতিকতা নেই তাদের
বিশ্বাস কিসের, কালোপোশাকের আড়ালে
কোরান শরিফের বদলে কুরবানের অস্ত্র লুকিয়ে
রাখে, একের পর এক সহিংসতাই শুধু করে
চলেছে তবু শাসন করবার মত নেই কেউ
আমি তো মৃত শিশু মাত্র।আমাকে গুলি করে
মারার দরকার নেই, আমাকে একটা চপেটাঘাত
করলেই যথেষ্ট। অথচ কেমন করে রক্তপাত ঘটায়
কেমন করে নৃশংসতার ধৃষ্টতা দেখায়
ঐ নরপিশাচের দল, কিসের প্রতিষ্ঠা চায় ওরা,
শিক্ষাকে কিসের ভয় ওদের ? গন্ড মুর্খ শয়তান,
পরিত্যাক্ত জানোয়ার কোথাকার, বুকের খাচা
ছিড়ে ফেলব তোদের, বুকটা খালি করলি মায়ের।
তুমি কি আজো কলম হাতে বসে রবে মালালা ?
তোমার মুন্ড ছেদন করতে চেয়েছিল যে জংলারা
আজ আবার ১৩২টি মালালার রক্ত শুধু নয়
করে দিল পুরোপুরি তরতাজা পূষ্পকুড়ি জীবনের ক্ষয়।
তোমাকে বার বার অঙ্গুলি দেখাতে চায়
তুমি চাও শিক্ষা ও শান্তি, ওরা চায় নৃসংশতা
তোমার জীবিত থাকার প্রতিশোধে উন্মত্ততা।
ওরা বুঝেছে একটি মালালাকে হত্যা করলে
সহস্র মালালা জন্ম নেবে, তাই সহস্রকে হত্যা
করে একটি মালালাকে সর্বশান্ত করতে চায়।
জানি তুমি মাথা নোয়াবার নয়, ইচ্ছা মৃত্যুর
বরদান প্রাপ্ত ভিষ্মেরই উদাহরণ তুমি, যতক্ষণ না
ধর্মের প্রতিষ্ঠা হয় ততক্ষণ শ্বাস বইবে তোমার শরীরে,
যতক্ষণ না তোমার আশা পূর্ণ হয়, শিক্ষার শান্তিতে
সমগ্রবিশ্ব যতক্ষণ না আলোকিত হয় ততক্ষণ তোমার
সংগ্রাম চলবেই।আমরা সকল শিশু একদিন বড় হব
আমরা সকল শিশু জীবিত রব।নরপিশাচ গুলোর
হাড় মাংশ খাব আমরা।শুধু তোমারই নির্দেশনার
সঠিক পথের আশায় আছি আমরা, আর কত ঝরবে
রক্ত, জল ? আর কত.....? কে মুছিয়ে দেবে রক্তের দাগ
তুমি বলে দাও কোন পথে আসবে আশার আলো
জ্বলবে শিক্ষার আলো।
কেমন করে নিশ্চির্ণ হবে জানোয়ার গুলো ?